মোঃ মোকাদ্দেছুর রহমান রকি
যশোর জেলা পরিষদের ইলেকট্রিশিয়ান আশরাফ হোসেন মঞ্জু অবৈধ উপার্জনের মাধ্যমে বিলাসবহুল বাড়ি ও বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন এমন অভিযোগ উঠেছে।
সূত্র জানায়, দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে একই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আশরাফ হোসেন তার পদমর্যাদা ও প্রভাব কাজে লাগিয়ে জেলা পরিষদের বিভিন্ন আয় উৎস নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। ইলেকট্রিশিয়ান পদে নিয়োগ পেলেও পরবর্তীতে নিজেকে “সার্ভেয়ার” পরিচয়ে বিভিন্ন ইজারা, জমি ও বৃক্ষ নিলামের কাজে সম্পৃক্ত করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা পরিষদের কয়েকজন কর্মচারী জানান,তিনি তৎকালীন কর্মকর্তাদের প্রভাবিত করে পরিষদের জমি, পুকুর ও রাস্তার পাশের গাছ ইজারার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করেছেন। যশোর-মনিরামপুর, নড়াইল, বেনাপোল ও সাতক্ষীরা সড়কসংলগ্ন বহু গাছ নিলামের নামে বিক্রি করে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি যশোর সদর উপজেলার কিসমত নওয়াপাড়া গ্রামে মোটা অংকের অর্থে জমি কিনে বিলাসবহুল বাড়ি নির্মাণ করেছেন। ওই বাড়ির প্রবেশমুখে নিজের নামসহ “সার্ভেয়ার” পরিচয়ে সাইনবোর্ডও ঝুলিয়েছেন। এছাড়া অবৈধ আয়ের অর্থে ‘মায়া ফিলিং স্টেশন’ নামে একটি জ্বালানি প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্র আরও জানায়, আশরাফ হোসেন তার স্ত্রীকে বকচর এলাকায় জেলা পরিষদের জমিতে বৃক্ষরোপণ প্রকল্পের সভাপতি করেছেন। ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জে আত্মীয়দের এলাকায় একটি ক্লিনিকসহ তার স্ত্রীর ও মেয়ের নামে একাধিক সম্পত্তি ক্রয় করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
তৎকালীন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল তার অনিয়মের বিষয়ে অবগত হয়ে মাঝে মাঝে তাকে অতিরিক্ত কার্যক্রম থেকে বিরত রাখলেও পরবর্তীতে পুনরায় সক্রিয় হন বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আশরাফ হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি সার্ভেয়ারের কাজ করার লিখিত অনুমতি পেয়েছি।
তবে উপশহর ডি ব্লকের এক ব্যক্তি দুর্নীতি দমন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ গঠনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক :
মোঃ কামরুল ইসলাম
মোবাইল নং : ০১৭১০৭৮৫০৪০
Copyright © 2025 অপরাজেয় বাংলা. All rights reserved.