Type to search

যশোরে মেধা ও যোগত্যা বলে ২২৩ জনের পুলিশে চাকরি

যশোর

যশোরে মেধা ও যোগত্যা বলে ২২৩ জনের পুলিশে চাকরি

যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানার সেলুন কর্মচারীর ছেলে সাহেব আলী জানত না যে, তার মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে এসে বাংলাদেশ পুলিশের গর্বিত সদস্য হতে পারবে।

পুলিশ সুপার মঈনুল হক পদক্ষেপের কারণে শতভাগ সত্য ও যোগ্যতার মাপকাঠিতে এমন অনেক সাহেব আলী নিজের যোগ্যতার ভিত্তিতে যশোর জেলার পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন।
সাহেব আলীর মত যশোর জেলার কোতয়ালী, চৌগাছা, ঝিকরগাছা, শার্শা, বেনাপোল, কেশবপুর, মনিরামপুর, অভয়নগর, বাঘারপাড়া থানার অনেক কৃষক শ্রমিক রিকশাচালক কর্মচারী সন্তানেরা কনস্টেবল পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। আর এসবই সম্ভব হয়েছে যশোর জেলার পুলিশ সুপার মঈনুল হকের কারণে বলে মন্তব্য করেন নিয়োগপ্রাপ্তরা।
প্রতিটি নিয়োগ এরূপ যোগ্যতার ভিত্তিতে হলে বাংলাদেশ পুলিশ মেধাবৃত্তিদের দ্বারা গঠিত হবে পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে এবং সাধারণ মানুষ পুলিশের নিকট হতে তার প্রত্যাশিত সেবা পাবে বলে মনে করে সাধারণ জনগণ।
যশোরের পুলিশ লাইন্সে গত ২২ জুন হতে ২৬ জুন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে(১) সাধারণ কোটায় (পুরুষ) ১৬০৬ জন, (২) সাধারণ কোটায় (নারী)১৯৩ জন, (৩) মুক্তিযোদ্ধা (পুরুষ)-৯৯ জন, (৪) মুক্তিযোদ্ধা (নারী) ১৫ জন, (৫) পুলিশ পোষ্য কোটায় ২৫ জন, (৬) আনসার ভিডিপি কোটায় ৫ জন, (৭) এতিম কোটায় ৭ জন। এনিয়ে ১৯৫০ জন শারীরিক পরীক্ষায় অংশ নেয়।
এ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় ১০৬৯ জন। পরবর্তীতে লিখিত পরীক্ষায় ৩৫৪ জন উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়।
২৭ জুন সাধারণ কোটায় (পুরুষ) ১৩৬ জন, সাধারণ কোটায় (নারী) ৬০ জন, মুক্তিযোদ্ধা (পুরুষ) ২১ জন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় (নারী) ২ জন, পুলিশ পোষ্য কোটায় ৪ জনসহ ২২৩ জন প্রার্থী তাদের মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হন।
যশোর পুলিশের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, মাত্র ১০৩ টাকায় যশোরে প্রথম বারের ২২৩ জন চাকুরি পেলেন।