যশোরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আয়োজিত গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার ২৬ অক্টোবর সকাল ১০টা দিনব্যাপী যশোর শহরের জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ গণশুনানির আয়োজন করেন যশোর দুদক। এতে সহযোগিতা করে যশোর জেলা প্রশাসন ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোঃ আজাহারুল ইসলাম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন দুদক কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী, দুদক মহাপরিচালক আকতার হোসেন, খুলনা বিভাগীয় পরিচালক জালাল উদ্দিন আহমেদ এবং যশোরের পুলিশ সুপার রওনক জাহান।
গণশুনানিটি দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম পর্বে প্রধান ও বিশেষ অতিথিরা বক্তব্য রাখেন। দ্বিতীয় পর্বে জেলার বিভিন্ন সরকারি,বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে সেবা গ্রহীতা ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে সরাসরি প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, মোট ৩৭টি সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ৭৫টি অভিযোগ উত্থাপিত হয়। এর মধ্যে ছিল বিআরটিএ, যশোর জেনারেল হাসপাতাল, এলজিইডি, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, পানি উন্নয়ন বোর্ড, পরিবেশ অধিদপ্তর, সিভিল সার্জন অফিস, প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, সমাজসেবা অধিদপ্তর, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, সাব-রেজিস্ট্রার অফিস, ওজোপাডিকো, ভূমি অফিস, বিএডিসি, অগ্রণী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ইউসিবি ব্যাংক, যশোর পৌরসভা, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা বোর্ড ও সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন দপ্তর।
গণশুনানিতে অভিযোগকারীরা দুর্নীতি, ঘুষ ও সেবার অনিয়মের নানা অভিযোগ তুলে ধরেন। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতিনিধিরা এসব অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন।
শুনানির এক পর্যায়ে কাজের বিনিময়ে ‘পাকা কলা খাওয়ার’ কথা স্বীকার করায় যশোর জেলা পরিষদের উচ্চমান সহকারী আলমগীর হোসেনকে বদলির নির্দেশ দেন দুদক কমিশনার মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী। অভিযোগকারী রুস্তম আলী জানান, আলমগীর হোসেন তার কাছ থেকে শুধু কলা নয়,১০ হাজার টাকা ঘুষও নিয়েছেন এবং পরবর্তীতে আরও ৬ লাখ টাকা দাবি করেছিলেন। টাকা না দেওয়ায় তার নামের জমির ডিসিআর অন্যকে দিয়ে দেওয়া হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুদক চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন বলেন, “দুদক একা দুর্নীতি পুরোপুরি নির্মূল করতে পারবে না, তবে এর মাত্রা কমানো সম্ভব। আমরা জনগণকে সরাসরি কর্মকর্তাদের মুখোমুখি করে দিচ্ছি না, বরং দুই পক্ষের মধ্যে সংযোগ তৈরি করছি। এতে স্বচ্ছতা বাড়বে, দুর্নীতি কমবে।”
। গণশুনানিটি সঞ্চালনা করেন জেলা প্রশাসক মোঃআজাহারুল ইসলাম।#
সম্পাদনায়
মোঃ মোকাদ্দেছুর রহমান রকি
প্রকাশক ও সম্পাদক :
মোঃ কামরুল ইসলাম
মোবাইল নং : ০১৭১০৭৮৫০৪০
Copyright © 2025 অপরাজেয় বাংলা. All rights reserved.