অপরাজেয় বাংলা ডেক্স : যশোরে আ.লীগ নেতার ছেলে তমারুল ইসলাম তমাল আজ রোববার সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তিনি যশোর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম রন্টুর ছোট ছেলে। অ্যাসেট ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড হোল্ডিংস লি. নামে একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। চাকরি সূত্রে তমাল ঢাকায় অবস্থান করলেও তার বাবা-মা যশোর শহরের পুরাতন কসবা পুলিশ লাইন এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা।
জানা গেছে, রোজা শুরুর দিকে তমাল অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকেন। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল পর্যন্ত অবস্থা খুবএকটা খারাপ ছিল না। ডাক্তাররা প্লাজমা দেওয়ার কথা বলেছিলেন। প্লাজমা জোগাড়ও করা হয়েছিল। কিন্তু পরে ডাক্তাররা সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।
এদিকে, হাসপাতালের প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে স্বজনরা মরদেহ নিয়ে বেলা দুইটার দিকে যশোরের উদ্দেশে যাত্রা করেছেন। সন্ধ্যার পর মরদেহ যশোরে এলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জানাজা ও দাফন করা হবে।
যশোরে কারা দাফন কাজে অংশ নেবেন, তা নিয়ে আজ সকাল থেকেই তৎপরতা শুরু হয়। তমালের স্বজন ও বন্ধুরা যোগাযোগ করতে থাকেন প্রশাসনসহ স্বেচ্ছাসেবীদের সঙ্গে। শহরের পুরাতন কসবা এলাকার বাসিন্দা ছাত্রলীগ জেলা কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জুয়েলের সঙ্গেও তারা যোগাযোগ করেন; যিনি ‘দাফনযোদ্ধা’ নামে একটি টিম প্রস্তুত করেছেন করোনায় আক্রান্তদের দাফন-কাফনের জন্য।
দুপুরে জুয়েল সুবর্ণভূমিকে বলেন, ‘খবর পাওয়ার পর পরই আমি যশোরের জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, এসিল্যান্ড প্রমুখের সঙ্গে যোগাযোগ করি। কেউ ফোন রিসিভ করেছেন, কেউ করেননি। পরে আমাকে জানানো হয়েছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন নামে একটি সংস্থা মরদেহ দাফন-কাফনের কাজ করবে।’
‘তবে আমার টিম প্রস্তুত আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম মেনে গাড়ি জীবাণুমুক্ত করে মরদেহ দাফন করার যাবতীয় প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। যেকোনো ধরনের সহযোগিতা দিতে আমাদের টিম প্রস্তুত আছে,’ বলছিলেন জুয়েল।
বিকেল পৌনে চারটার দিকে যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন সুবর্ণভূমিকে জানান, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন দাফনের কাজটি করবে। ওই সংস্থার কর্মীদের এই সংক্রান্ত বিষয়ে কয়েকদফা অনলাইনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি দেখাশুনা করেন যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)।
এক প্রশ্নের জবাবে সিভিল সার্জন বলেন, ‘আমি চেষ্টা করবো দাফনের সময় থাকার। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও কেউ কেউ থাকতে পারেন।’
‘এছাড়া অন্য কেউ বা কোনো সংস্থা দাফনে সহযোগিতা করতে চাইলে প্রয়োজন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
রাত নয়টার কিছু সময় আগে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের এই কার্যক্রমের সমন্বয়ক মিজানুর রহমান সুবর্ণভূমিকে জানান, তাদের প্রশিক্ষিত সদস্যরা কারবালা গোরস্থানে দাফন কাজ শেষ করেছেন।
সূত্র- সুবর্ণ ভূমি
প্রকাশক ও সম্পাদক :
মোঃ কামরুল ইসলাম
মোবাইল নং : ০১৭১০৭৮৫০৪০
Copyright © 2025 অপরাজেয় বাংলা. All rights reserved.