মঙ্গলবার (৯ মার্চ) বেলা ১টায় জেলা শহর মাইজদীর টাউনহল মোড়ে এ কর্মসূচি হয়েছে। জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাম্মেল হক মিলনের সভাপতিত্বে মানববন্ধন-সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাবেক জেলা কমান্ডার মিজানুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মিয়া মোহাম্মদ শাহজাহান, আবুল কাশেম জিএসসহ অনেকে। কর্মসূচিতে জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা অংশগ্রহণ করেন।
এসময় তারা বলেন, আবদুল কাদের মির্জা একের পর অপকর্ম করে যাচ্ছে। সর্বশেষ তিনি যুদ্ধকালীন সময়ে কোম্পানীগঞ্জের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের গায়েও হাত তোলেন। যা কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না। তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর সঠিক বিচার চান, তা না হলে সারা দেশের মুক্তিযোদ্ধারা একযোগে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবে।
এদিকে বুধবার সকাল ১১টায় বসুরহাট পৌরসভা চত্ত্বরে এক সংবাদ সম্মেলন করেন পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। এ সময় তিনি দাবি করেন, মঙ্গলবার (৮ মার্চ) খিজির হায়াত খানকে তিনি লাঞ্ছিত করেননি। বরঞ্ছ উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিনি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানকে নিরাপদে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। তার বিরুদ্ধে অপরাজনীতিকারীরা মিথ্যাচার করছে এবং পরিকল্পিতভাবে নাটক সাজাচ্ছে।
তিনি আরো দাবি করেন, গতকাল রাতে খিজির হায়াত খান ও মিজানুর রহমান বাদলের লোকজন বাজারে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
এদিকে, হামলার শিকার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
অন্যদিকে, এ ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার বিকেলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট রূপালী চত্ত্বরে এক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ।
এর আগে, সোমবার (৮ মার্চ) বিকালে বসুরহাট পৌরসভার রূপালী চত্ত্বরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
খিজির হায়াত খান জানান, দলীয় কার্যালয়ের পাশে অবস্থানের সময় হঠাৎ করে আবদুল কাদের মির্জা, তার ছোট ভাই শাহাদাত হোসেনসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী তাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। এক পর্যায়ে মির্জা কাদের খিজির হায়াত খানের পাঞ্জাবি ধরে তাকে বাহিরে নিয়ে এসে তাকে মারধর করে। মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও তার সাথে থাকা লোকজন তাকে লাথি, কিল, ঘুষি মেরে পাঞ্জাবি ছিঁড়ে ফেলে। বিষয়টি পুলিশকে জানালেও পুলিশ তাকে কোনো সহযোগিতা করে নাই।
আর অভিযোগের বিষয় মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছিলেন, পরিস্থিতি খারাপ দেখে এ সময় তিনি উত্তেজিত জনতার হাত থেকে খিজির হায়াত খানকে রক্ষা করেছেন। সূত্র, DBC বাংলা