মাশরাফির বাবার নির্দেশ মানেনি শাফায়েত কাজীর লোকজন

নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইলে মোটরসাইকেল ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও মারপিট করা সাফায়েত কাজী ও তার লোকজন মাশরাফির বাবার নির্দেশ মানেননি বলে অভিযোগ করেছেন সাইদুর রহমান সজিব।
তিনি যশোরের ঝুম ঝুম পুুরের ছেলে । সজিব বন সংরক্ষক, সামাজিক বন অঞ্চল, যশোর মহোদয়ের পি.এ হিসাবে কর্মরত আছেন।
সজিব অভিযোগ করে বলেন, আমার শ্বশুর বাড়ী নড়াইল সদরের মাইজপাড়া ইউনিয়নের কাঠালবাড়ী গ্রামে । ঈদের ছুটিতে শ্বশুরবাড়ী বেড়াতে গেলে বিগত ১৯/৬/২৪ তারিখ বেলা সাড়ে ১২টায় চারিখাদা গ্রামের আজিজুর কাজীর ছেলে সাফায়ত কাজী,(মাশরাফির এলাকা)। সাফায়েত কাজির নেতৃত্বে ১২/১৪ জন ছেলে মিলে আমার শ্বশুর বাড়ী ঢুকে আমাকে ও শ্বশুরকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে ধাওয়া করে, আল্লাহতায়ালার রহমতে জীবিত আছি। বাসার মেয়ে ছেলে বাচাতে আসলে তাদের মারধর করে, আমাদের বাচ্চাগুলি ব্যাপক কান্নাকাটি ও ভয় পায়। সাফায়েত চলে যাওয়ার সময় আমার নতুন সুজুকি গাড়ী ব্যাপক ভাংচুর করে। এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করলে তারা কোন ভুমিকা পালন করেনি। এ বিষয়ে মাশরাফির স্যারের বাবা স্বপন সাহেবের সাথে মিসেসের পরিবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ইউনিয়ন পরিষদে মেম্বার, চেয়ারম্যান ও পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় সালিশী বৈঠকে বসে সমঝোতার নির্দেশনা দেন। তারই পরিপ্রক্ষিতে অদ্য ২১/০৬/২০২৪ তারিখ ইউনিয়ন পরিষদে বসা হলে অভিযুক্তের সাফায়েতের পরিবার ও চেয়ারম্যান সেখানে অনুপস্থিত থাকেন। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান যে তিনি বিষয়টি জানেন না। শুধুমাত্র সাফায়েতের দুলাভাই তৃতীয় পক্ষ হিসাবে সাজ্জাদ হোসেন ও ২জন এসআই এ এস আই উপস্থিত থাকেন। আলাপয়ান্তে তারা কোন সুস্ঠ সমাধান দিতে পারেনি।
উল্লেখ্য-নড়াইলে পূর্ব শত্রুতার জেরে বাড়িঘর,মটর সাইকেল ভাঙচুর ও মারপিটের কারনে নড়াইল সদর থানায় অভিযোগ করেন মহিউদ্দিন মোল্লা (৬৫)। তিনি সদর উপজেলার মাইজপাড়া ইউনিয়নের কাঠালবাড়ীয়া গ্রামের মৃত মমিন মোল্লার ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম।
অভিযোগে মহি উদ্দিন জানান,একই ইউনিয়নের চারিখাদা গ্রামের আজিজুর কাজির ছেলে সাফায়েত কাজী (৩০)। দীর্ঘ দিন যাবৎ আমাদের নানা ভাবে ক্ষতি করার চেষ্টা করে আসছিলো। ৩ মাস আগে আমাকে ও আমার ছোট মেয়ে জামাইকে মাইজপাড়া বাজার থেকে অকথ্য ভাষা গালাগালি করতে থাকে। এবং প্রাণে মেরে ফেলব বলিয়া বিভিন্ন ধরণের হুমকি ভয় ভীতি প্রদর্শন করে। বিষয়টি স্থানীয় গণ্য মান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বৈঠক করিয়া সমাধান করিতে ব্যর্থ হই। এরই প্রেক্ষিতে ১৯/০৬/২০২৪ তারিখ দুপুর আনুমানিক সাড়ে ১২ টায় শাফায়েত ও তার দলবল নিয়ে হাতে লাঠি সোটা সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার বসত বাড়িতে জোর পূর্বক অনাধিকার প্রবেশ করে বাড়ি ঘর সহ জামাইয়ের একটি মটর সাইকেল ভাংচুর করে। তখন আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাহাদের প্রতিবাদ করলে আমাকে মাটিতে ফেলে দিয়ে আমার মুখ, বুক সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কিল ঘুষি মেরে ফোলা বেদনাদায়ক জখম করে। এবং আমার বাড়ির মহিলাদে শরীরের বিভিন্ন স্পর্শ কাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতহানি ঘটায়। এ বিষয় নিয়ে কোন মামলা ও অভিযোগ করিলে আমাকে প্রানে মারিয়া ফেলিবে বলিয়া হুমকি দেয়। একা পর্যায়ে আমার ডাক চিৎকারে কাঠালবাড়ি মাজপাড়ার কাদের বিশ্বাস (৩৫), পারভিন খাতুন (৩৩), কহিনুর বেগম (৫৫), নাজমুন নাহার (৩১) এগিয়ে এসে আমাকে শাফায়েতের হাত থেকে রক্ষা করে। সে যেকোন সময় পুনরায় আমার ও আমার পরিবারের উপর আক্রমন করিতে পারে।
এ বিষয়ে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা একটা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এটা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ###