Type to search

মাশরাফির নাম ভাঙিয়ে বাড়ি ভাঙচুরের অসহায় নাসিমা বেগমের পাশে মেয়র আঞ্জুমান আরা

জেলার সংবাদ

মাশরাফির নাম ভাঙিয়ে বাড়ি ভাঙচুরের অসহায় নাসিমা বেগমের পাশে মেয়র আঞ্জুমান আরা

নড়াইল প্রতিনিধি
জাতীয় সংসদের হুইপ ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজার নাম ভাঙিয়ে নড়াইল পৌরসভার ধোপাখোলা এলাকায় বসতবাড়ির ১৫ শতক জমি দখল করে একতলা ভবন ভাঙচুর এবং গাছ কেটে ফেলা অসহায় মোসাম্মৎ নাসিমা  বেগমের পাশে নড়াইল পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা।
৮ই জুন  শনিবার  বিকালে নড়াইল পৌর   পরিষদের পক্ষ থেকে মেয়র আঞ্জুমান আরা অসহায়  নাসিমা বেগমের পরিবারের  ভরণপোষণ ও খোলা আকাশের নীচে  মাথা গোজার ঠাই হিসাবে টিনের ঘর করে  দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নড়াইল পৌরসভার প্যানেল মেয়র কাজী জহিরুল হক, কাউন্সিলর রাজু আহমেদ, ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্র সংসদের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও অসহায় নাসিমা বেগমের পরিবার।
মেয়র রাঞ্জুমান আরা বলেন,দীর্ঘদিন ধরে নাসিমা বেগমের উপর যে অত্যাচার  নির্যাতন হচ্ছে সেটা আমাকে কেউ জানায়নি। এমনকি নাসিমার পরিবারের কেউ যোগাযোগ করেনি। এখন  আমি নিউজ এর মাধ্যমে  খবর পেয়ে আমি সরাসরি এসেছি। এবং নাসিমার পরিবার যাতে সঠিক  বিচার পায় তার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করব। এবং  খোলা আকাশের নিচে থাকা নাসিমার পরিবারের জন্য  টিনের ঘর করে দেয়ার ব্যবস্থা করব এবং ভরণপোষণের জন্য চাল ডাল তেল লবণ সহ নিত্য  প্রয়োজনীয়  জিনিসপত্র দিব।
এ বিষয়ে অসহায় নাসিমা বেগম বলেন,দীর্ঘ সাত-আট মাস মোহাম্মদ উল্লাহ র নির্যাতনে আমি দিশারায় পড়েছিলাম। কার কাছে যাব কিভাবে কি করব বুঝতে পারছিলাম।  তারপরও থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও আমার মামলা এখন পর্যন্ত নেয়নি। এখন মেয়র আপা এসে  আমার রুটি রুজির ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন এজন্য  আল্লাহর কাছে দোয়া করি তিনি যেন ভালো থাকেন। আমি সঠিক বিচার পাওয়ার  জন্য আগামী মঙ্গলবার কোট চত্বরে মানববন্ধন করব। আপনারা আমার পরিবারের  পাশে থাকবেন এই আশা করি।
এদিকে শুক্রবার (৭ জুন) রাতে সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান নড়াইল সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। পরে ওই রাতেই মোহাম্মদ উল্ল্যাহ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করলেও ছুটির দিনেও জামিন পেয়েছেন ।
থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ধোপাখোলা মোড়সংলগ্ন নাছিমা বেগমের সঙ্গে মোহাম্মদ উল্ল্যার জমি নিয়ে বিরোধ আছে। এ নিয়ে মামলা চলমান। কিন্তু মোহাম্মদ উল্ল্যাহ কয়েক দিন আগে তার লোকজন নিয়ে জমিতে থাকা গাছপালা এবং ঘর-বাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় তারা নিজেদের মাশরাফি বিন মর্তুজা এমপির লোক বলে পরিচয় দেয়।
এদিকে শনিবার (৮ জুন) জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী, পুলিশ সুপার মো. মেহেদী হাসান ভুক্তভোগীর বাড়িতে গিয়ে তাদের খোঁজ-খবর নেন এবং ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দেন।
এ বিষয়ে মাশরাফি বিন মর্তুজার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান বলেন, সম্প্রতি নড়াইল পৌরসভার ধোপাখোলা এলাকায় নাসিমা বেগম নামে এক নারীর বাড়ি ভাঙচুর এবং গাছ কাটার ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়টি ও অপরাধীদের সম্পর্কে এমপি অবগত নন। যারা তার নাম ভাঙিয়ে এসব অপকর্ম করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে নড়াইল সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
বিষয়ে জানতে নড়াইল সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, মোহাম্মদ উল্লাহ কে গ্রেফতার করে চালান করে দেয়া হয়েছে।