Type to search

‘মানুষ এখন একদিন বাঁচলে আরেকদিন কীভাবে বাঁচবে জানে না’

রাজনীতি

‘মানুষ এখন একদিন বাঁচলে আরেকদিন কীভাবে বাঁচবে জানে না’

বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘প্রতিটি পণ্যের দাম মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেছে। মানুষ এখন একদিন বাঁচলে আরেকদিন কীভাবে বাঁচবে তা জানা নেই তাদের। এমন অবস্থায় ঘরপোড়ার মধ্যে আলুপোড়া দিয়ে সরকার জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি করেছে।’ সোমবার (৮ নভেম্বর) ঢাকায় জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক জোটের জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে তিনি এসব মন্তব্য করেন। তবে পল্টন মোড় থেকে মন্ত্রণালয় অভিমুখে যাওয়ার পথে জিরো পয়েন্টে মোড়ে তাদের আটকে দেয় পুলিশ। এ কারণে সেখানেই সমাবেশ শুরু হয়।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির এই নেতার মন্তব্য, ‘জ্বালানি তেলের সিন্ডিকেট এখন সরকারি দলের নিয়ন্ত্রণে। তারা জনগণের পকেট থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা প্রতিদিন আত্মসাৎ করেন। নিচ থেকে ওপর পর্যন্ত সেই টাকার ভাগ-বাটোয়ারা হয়। সরকার বলে এটা নাকি মুক্তবাজার। বাংলাদেশে মুক্তবাজার বলে কিছু নেই। এজন্য বাজারে যখন একটি জিনিসের দাম বাড়ে তা আর কখনও কমে না। বর্তমান সরকার সিন্ডিকেটের সরকার, মুনাফাখোরদের সরকার, দুর্নীতিবাজদের সরকার।’

সমাবেশে অন্য বক্তারা বলেন, ‘আমাদের লড়তে হবে। আমাদের পিঠ যেহেতু দেয়ালে ঠেকে গেছে তাই এই সরকারকে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে পরাজিত করে এগিয়ে যেতে হবে। সরকার গ্যাস সিএনজি থেকে ৪০ হাজার কোটি টাকা লাভ করেছে। সেই ৪০ হাজার কোটি টাকা কোথায় গেলো? সেই ৪০ হাজার টাকা ভর্তুকি দিলে আগামী ১৫ বছর গ্যাসের দাম যতই বাড়ুক আমাদের কোনও ক্ষতি হবে না। গ্যাসের ভ্যাট অধিক ধরা হয়েছে। গ্যাসের দাম ৮০ টাকা, ভ্যাট চলে যাচ্ছে ৪০ টাকা। গ্যাস ও চালের সিন্ডিকেটের টাকা দিয়ে নির্বাচনি তহবিল হচ্ছে। নৌকা মার্কাকে জয়যুক্ত করার আয়োজন চলছে। এর দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে। সেজন্য সবাইকে প্রস্তুত হওয়া জরুরি।’

সমাবেশে আরও ছিলেন বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, সিপিবি’র সহকারী সাধারণ সম্পাদক কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন।

সুত্র,বাংলা ট্রিবিউন