মাগুরায় জোড়ামাথার শিশুর জন্ম

অপরাজেয় বাংলা ডেক্স
মাগুরার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে জোড়ামাথা কন্যাশিশুর জন্ম হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে শহরের ভায়না এলাকায় মা প্রাইভেট হাসপাতালে এই শিশুর জন্ম হয়।
মাগুরা সদর উপজেলার জগদল গ্রামের কৃষক পলাশ মোল্যার স্ত্রী সোনালী বেগম এই শিশুর জন্ম দেন। মাথা জোড়া লাগা শিশুর চিকিৎসা ও জীবন রক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন পলাশ। শিশুকে দেখতে অসংখ্য মানুষ ওই ক্লিনিকে ভিড় জমাচ্ছিল। তাই ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নবজাতকের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অবশ্য, প্রসূতি ওই ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন।
পলাশের পরিবার ও নার্সিং হোম সূত্রে জানা যায়, গর্ভের সন্তানের জটিলতা রয়েছে জেনে স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী দুই সপ্তাহ আগে সোনালীকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন হাসপাতালের গাইনি ও প্রসূতি বিভাগ থেকে ছয় সপ্তাহ পর তাকে হাসপাতালে আনার পরামর্শ দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী পলাশ তার স্ত্রীকে নিয়ে মাগুরায় চলে আসেন। আকস্মিক সোনালীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিকেলে অস্ত্রোপচারে জোড়ামাথা কন্যাশিশুর জন্ম হয়।
চিকিৎসক মাসুদুল হক বলেন, জোড়ামাথার শিশু সুস্থ আছে। তবে তার মা অসুস্থ। জন্মের পর শিশু মায়ের বুকের দুধ পান করেছে।
তিনি বলেন, উন্নত চিকিৎসা ছাড়া এদের বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব নয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের জন্য শিশুর অভিভাবককে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
পলাশ মোল্যা বলেন, নবজাতক তাদের দ্বিতীয় সন্তান। আমি অতিদরিদ্র কৃষক। আমার পক্ষে এই শিশুর চিকিৎসা ব্যয় বহন সম্ভব নয়। কন্যাশিশুকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকার ও দেশের হৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে সহায়তা প্রত্যাশা করেছেন তিনি।সূত্র, সুবর্ণভূমি