আবহাওয়া অফিস ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে মহাবিপৎসংকেত জারি করলেও খুলনার উপকূলে সাইক্লোন শেল্টারে যেতে চাইছে না মানুষ।
আজ রবিবার দুপুরে খুলনার কয়রার শাকবাড়িয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ সাইক্লোন শেল্টার, মনোরমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সাইক্লোন শেল্টার ঘুরে দেখা যায়, দুপুর অবদি সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিতে তেমন কেউ আসেননি।
ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় স্বেচ্ছাসেবক আক্তারুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকেই মাইকিং করা হচ্ছে। তারপরও সাইক্লোন শেল্টারে যেতে রাজি হচ্ছেন না কেউ।
তিনি বলেন, বাড়ি ছেড়ে সাইক্লোন সেল্টারে গেলে সহায়-সম্পত্তি চুরি হওয়ার ভয় থাকে। এসব কারণে আশপাশে কারো পাকা ভবন থাকলে সেখানেই আশ্রয় নিতে চেষ্টা করছেন তারা।
জানা যায়, অনেক সময় ঝড়-জলোচ্ছ্বাস আসবে বললেও শেষ পর্যন্ত কিছুই হয় না। ফলে শেষ মুহূর্তে পর্যন্ত বাড়িতে থাকতে চাইছেন লোকজন। এছাড়া উপকূলীয় এলাকায় সাধারণত জলোচ্ছ্বাস বেশি হয়। পানি বাড়লে ওই সময় বাড়িতে কেউ থাকলে তারা মালামাল সরিয়ে উচু স্থানে রাখতে পারেন। ফলে তারা সাইক্লোন শেল্টারে যেতে চান না।
খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য জেলায় ৬০৪টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জীবনহানি এড়াতে এলাকার সবাইকে বাধ্যতামূলক সাইক্লোন শেল্টারে যেতে বলা হয়েছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক :
মোঃ কামরুল ইসলাম
মোবাইল নং : ০১৭১০৭৮৫০৪০
Copyright © 2025 অপরাজেয় বাংলা. All rights reserved.