Type to search

মনিরামপুরে চা বিক্রেতা জালাল হত্যাকান্ডর রহস্যজট ডিপফ্রীজে, বাদী শঙ্কায়

মনিরামপুর

মনিরামপুরে চা বিক্রেতা জালাল হত্যাকান্ডর রহস্যজট ডিপফ্রীজে, বাদী শঙ্কায়

 

জি, এম ফারুক আলম, মনিরামপুর ॥
দু’মুঠো ভাতের জন্যে সাহিদা খাতুন স্বামীর রেখে যাওয়া চায়ের দোকানে চা বিক্রি শুরু করেছেন। নইলে-তো তাকে কেও খেতে দেওয়ার নেই। একমাত্র মেয়ে মিনাও থাকে তার মায়ের সংসারে। দুনিয়ায় বলতে মেয়ে মিনা ছাড়া আপনজন আর কেউ আছে বলে মনে করেন না সাহিদা খাতুন। মনিরামপুরের খালিয়া গ্রামের সেই চা দোকানি জালাল উদ্দীন (৫৫) এর স্ত্রী এই সাহিদা খাতুন।
জানাযায়, চলতি বছরের ৭ই জানুয়ারী দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হন জালাল উদ্দীন। ঘটনার দিন ফজরের নামাজ পড়তে বাড়ি থেকে বের হলে ঘরে ফেরেনি আর তিনি। শেষ পর্যন্ত পাওয়া গেল তাকে বাড়ির পাশে বোরো ধানের ক্ষেতে। জালালের স্ত্রী সাহিদার দাবী, তার স্বামী নামাজ পড়তে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তরা তাকে ধরে নিয়ে হত্যা করে। ঘটনার গত ৪৮দিন পার হতে চলেছে। মামলা করা হয়েছে, কিন্তু কিছুই আলামত দেখা মেলেনি অদ্যবদি।
বাদীর দাবী বাস্তভিটার চার শতক জমি নিয়েই তাকে খুন করা হয়েছে। বাস্তভিটার চার শতক জমি স্ত্রী সাহিদা খাতুনের নামে লিখে দেয় তার স্বামী জালাল উদ্দীন। এ কারনে জালালের দুই বোন সাবিনা খাতুন ও আকলিমা খাতুন পুরো ক্ষিপ্ত ছিলো তার ভাই জালাল উদ্দীনের উপর। তার বোন ছালিমা মাঝে মাঝে তাকে হত্যার হুমকি দিতো। হত্যা কান্ডে সপ্তাহ খানেক আগেও ভাই-বোনের মধ্যে ঝগড়া বিবাদের এক পর্যায় বোন সালিমা ভাইকে খুনের হুমকি দেয়। তাছাড়া তার দু’বোন তার বাড়ির চারদিকে বেঁড়া দিয়ে বেরোনোর সব পথই আটকে রাখে। সরল বিশ^াসের তার ভাই জালাল উদ্দীন বোনেদের এসব হুমকি ধামকি নিরবে নিবৃতে মাথায় নিয়ে চলতো সে।
পুলিশ এ ব্যাপারে জানেন কিনা জানতে চাইলে মামলার বাদী সাহিদা খাতুন জানায়, পুলিশ সবই জানেন, পুলিশ মাঝেমধ্যে আসেন সালিমা ও আকলিমার সাথে ভুডুর ভুডুর করেই চলে যান। এক পর্যায় সাহিদা খাতুন মামলার ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে জানায়, একে-তো পয়সা নেই, তারপর বেঁচে থাকার জন্য এ হত্যাকান্ড নিয়ে খুব বেশি এগোনে যাচ্ছে না।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শাহাজাহান এ জানান, মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলছে। মামলায় কোনো এজাহার নামীয় আসামী না থাকায় হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করতে সময় লাগছে।