মণিরামপুরে শিক্ষকের জন্ম তারিখ নিয়ে বিড়ম্বনা !

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি :
শিক্ষক ও মুক্তিযোদ্ধা মশিহুর রহমানকে নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন বোয়ালিয়াঘাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা পর্ষদ। শিক্ষক মশিয়ুর রহমানের একাধিক জন্ম তারিখ হওয়ায় তিনি কোন পর্যন্ত সরকারি বেতন ভাতা ভোগ করতে পারবেন তা নিয়েই বিড়ম্বনার কারন। বিষয়টি নিশ্চিত হতে প্রধান শিক্ষক সংশ্লিষ্ট একাধিক দপ্তরে আবেদন করেছেন।
মণিরামপুর উপজেলা বোয়ালিয়াঘাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মশিহুর রহমান সহকারী শিক্ষক (ইসলাম শিক্ষা) হিসেবে যোগদান করেছেন ০১-০১-১৯৭৮ সালে। তিনি একাধারে সরকারি বেতন ভাতা ভোগ করে আসছেন। বর্তমানে তার বেতন স্কেল ২২ হাজার টাকা। তার দাখিল সনদে জন্ম তারিখ ০১-০৬-১৯৬২ সাল। উপজেলার জালঝাড়া ছিদ্দিকীয়া ছিনিয়ার মাদ্রাসা হতে ১৯৭২ সালে তিনি দাখিল পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন। অবশ্য দাখিল সনদ হিসেবে জাতীয় পরিচয় পত্রে জন্ম তারিখটি ঠিক রাখা হয়েছে।
অপর দিকে মণিরামপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৭৪ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। পরীক্ষার কাগজপত্রে তার জন্ম তারিখ ০১-০৭-১৯৫৮ সাল। এ দিকে শিক্ষক মশিহুর রহমান একজন ভাতাভোগী মুক্তিযোদ্ধা। তার মুক্তিযোদ্ধার সনদে জন্ম তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ০১-০৩-১৯৫৪ সাল। তিনি আবার শিক্ষাকতা করলেও মুক্তিযোদ্ধা সনদে পেশায় একজন কৃষি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ২০০৩ সাল থেকে তিনি মুক্তিযোদ্ধা ভাতা গ্রহন করছেন। শিক্ষক ও মুক্তিযোদ্ধা মশিহুর রহমান উপজেলার ভোজগাতী গ্রামের মৃত ইজ্জত আলী গাজীর ছেলে। তার একাধিক এ জন্ম তারিখ নিয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধান’সহ পরিচালনা পরিষদ বিড়ম্বনায় পড়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত হতে তিনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়’সহ উপজেলা প্রশাসনের নিকট আবেদন করেছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ কুদ্দুস আলম জানিয়েছেন, এই শিক্ষক মশিহুর রহমানের একাধিক জন্ম তারিখ হওয়ায় তিনি কোন সাল পর্যন্ত চাকুরী করতে পারবেন সে বিষয়টি নিয়ে ধু¤্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টির সিদ্ধান্ত জানতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়’সহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায় আবেদন করেও কোন সুরাহ হয়নি। এ ব্যাপারে শিক্ষক মশিহুর রহমানের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে জানান, দাখিল সনদের জন্ম তারিখই সঠিক। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অন্যগুলো কাজে লাগাই না আমি।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মোঃ সাজ্জাত হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনিও কোন সঠিক জবাব দিতে পারেননি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, আইনের ব্যাখ্যায় এর সমাধান দিতে অপারগ, একই কথা জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ সায়েদুর রহমান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আহসান উল্লাহ্ শরিফী জানান, বিষয়টি খুবই জটিল তাই আমি এই মুহুর্তে নিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারছি না।