Type to search

মণিরামপুরে মাদককে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে নারীসহ আহত ৯

যশোর

মণিরামপুরে মাদককে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে নারীসহ আহত ৯

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি :
যশোরের মিণিরামপুরে ইয়াবা কেনাকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ৩ নারীসহ উভয় পক্ষের ৯ জন আহত হয়েছে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন স্থানে ভর্তি করে। গত রবিবার রাতে উপজেলার কদমবাড়ীয়া গ্রামের শিমুল নামে এক ব্যক্তির চায়ের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে অভিযোগ রয়েছে পুলিশ এ ঘটনায় বাবু নামে একজনকে অস্ত্রসহ আটকের পর ছেড়ে দিয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার বাকোশপোল গ্রামের ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক বাবু ও তার বন্ধু আমরান হোসেন মাদকসেবী। ইতিপূর্বে বাবু ইয়াবা কিনে দেয়ার জন্য তার বন্ধু আমরান হোসেনের কাছে পাঁচশত টাকা দেয়। কিন্তু আমরান ইয়াবা কিনে না দিয়ে সে টাকা নিজের পকেটে রাখে। মূলত: ওই ঘটনার জের ধরে দু’বন্ধুর মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঘটনার সময় কদমবাড়ীয়া গ্রামের মোড়ে শিমুলের চায়ের দোকনে বসে চা পান করছিল আমরান হোসেন। এ সময় বাবুর নেতৃত্বে ১৪ থেকে ১৫ জন যুবক লাঠিসোটা, হাতুড়ি, লোহার রড নিয়ে আমরানের উপর হামলা চালায়। এতে দোকানে বসে থাকা অন্যরা তাদেরকে বাঁধা দেয়। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আমরান হোসেন, বাবু, মতিয়ার রহমান, আমিনুর রহমান, মিজানুর রহমান, ফুলজান বেগম, শেলিনা খাতুন, মনিরা খাতুন ও রুবেল হোসেন আহত হন। আহতদের মধ্যে মতিয়ার, আমিনুর, মিজানুর ও আমরান হোসেনকে উদ্ধারের পর ওই রাতেই যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এদিকে ওই রাতেই এলাকাবাসী একটি ধারালো দা, একটি চাকু, কয়েকটি লোহার রডসহ বাবুকে আটকিয়ে রেখে পুলিশকে খবর দেয়। রাত ৯টার দিকে এসআই সালাহ উদ্দিন মিন্টু ঘটনাস্থল থেকে বাবুকে আটক করে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে গিয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে ছেড়ে দেয়। তবে অভিযোগ রয়েছে এসআই সালাহ উদ্দিন মোটা অংকের উৎকোচে তুষ্ট হয়ে বাবুকে ছেড়ে দিয়েছেন। জানতে চাইলে উৎকোচ গ্রহণের বিষয়টি অস্বীকার করে খেদাপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সালাহ উদ্দিন মিন্টু জানান, দুই পক্ষের দুইজন ইউপি সদস্য ফাঁড়িতে আসলে মিমাংশার স্বার্থে বাবুকে তার ভাই আলাউদ্দিনের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।
মণিরামপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, ইয়াবা নিয়ে নয়, ব্যক্তিগত বিরোধ নিয়ে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। বাবুকে আটকের পর দুইজন জনপ্রতিনিধির জিম্মায় দেয়া হয়েছে।