অপরাজেয় বাংলা ডেক্স : মণিরামপুরে পূর্বশত্রুতার জের ধরে পাশাপাশি দুটি মাছের ঘেরে বিষ প্রয়োগের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যারাতে উপজেলার বাকোশপোল মাঝেরপাড়ার মাঠে ঘটনাটি ঘটে।
ক্ষতির শিকার দুই মাছচাষি হচ্ছেন তপন দাস ও সাইদুল হক। রাত সাড়ে নয়টার দিকে ঘেরের পাড়ে গিয়ে বিষ দেওয়ার বিষয়টি টের পান তারা। এতে দুইজনের ছয় থেকে সাত লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) বেলা সকাল সাড়ে দশটার দিকে সরেজমিন দুই ঘেরে হাজার হাজার মরা মাছ ভাসতে দেখা গেছে।
তপন দাস জানান, সনদ দাস, হারাধন দাস, রবিন দাস ও চন্দন দাস- এই চারজনের কাছ থেকে বছরে ৭২ হাজার টাকায় এক একর ১৩ শতকের একটি ঘের লিজ নেন তিনি। চলতি বছরের জানুয়ারির শেষের দিকে তিনি ঘেরে চারা মাছ ছাড়েন। কিছুদিন পর তার ঘেরে বিষ দিয়ে দেড় লাখ টাকার মাছ মেরে দেওয়া হয়। সোমবার রাত আটটার দিকে আবার তার ঘেরে বিষ দিয়ে পাঁচ লাখ টাকার মাছ ধ্বংস করা হয়েছে।
তপনের অভিযোগ, এরআগে ঘেরটি চাষ করতেন সুব্রত দেবনাথ নামে এক ব্যক্তি। তিনি ঠিকমতো টাকা না দেওয়ায় মালিকপক্ষ এবার সুব্রতকে বাদ দিয়ে তাকে ঘের দিয়েছেন। এই কারণে সুব্রত এখানে মাছ চাষ করতে দেবেন না বলে হুমকি দেন। তপনের দাবি, সুব্রত তার ঘেরে বিষ দিয়েছেন।
তপনের ঘেরের পাশের ঘেরের মাছচাষি সাইদুল হক। তিনি বলেন, ‘আড়াই বিঘা ঘেরটি বছরে ৬০ হাজার টাকায় ভাড়া নিয়ে মাছ ফেলেছি। তপনের সাথে চলাচলের কারণে হিংসা করে গতরাতে সুব্রত আমার ঘেরে বিষ দিয়ে দুই লাখ টাকার ক্ষতি করেছে। এরআগেও দুই বার ঘেরে বিষ দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।’
ক্ষতিগ্রস্ত দুই চাষি এই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শুভ্রত দেবনাথ। তিনি বলেন, ‘আমি একাজ করতে যাব কেন? কয়দিন আগে সাইদুল ঘেরের মাছ ধরে বিক্রি করেছে। সে অনেক ঋণ আছে। পাওনাদারদের চোখ ফাঁকি দিতে তপন ও সাইদুল নিজেই ঘেরে বিষ দিতে পারেন।’
মণিরামপুর থানার ইনসপেক্টর (তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান বলেন, এই ঘটনায় এখনো থানায় কেউ অভিযোগ বা মামলা করেননি।সূত্র,সুবর্ণভূমি
প্রকাশক ও সম্পাদক :
মোঃ কামরুল ইসলাম
মোবাইল নং : ০১৭১০৭৮৫০৪০
Copyright © 2025 অপরাজেয় বাংলা. All rights reserved.