Type to search

ভবদহে কিস্তি আদায় বন্ধ হচ্ছে না

অভয়নগর

ভবদহে কিস্তি আদায় বন্ধ হচ্ছে না

নওয়াপাড়া অফিস
ভবদহের পানিবন্দি দুর্গত এলাকায় এনজিও’র কিস্তি আদায় কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না। অব্যাহত আছে তাদের কিস্তি আদায়। যশোরের জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে আগামী রোববার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
পলি জমে শ্রী ও হরি নদী ভরাট হয়ে গেছে। বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা নেই। এর মধ্যে এ বছর আগষ্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে দুই দফা ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। যে কারনে ভবদহ অঞ্চলে এবছর ভয়াবহ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পানি বন্দি হয়ে পড়েছে এলাকার প্রায় ১০ লাখ লোক। দুই মাস যাবৎ এলাকার লোক মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অনেকের ঘওে পানি ঢুকে যাওয়ায় অন্যত্র বসবাস করছেন। এলাকার সকল মাছের ঘের, ফসলের ক্ষেত পনিতে তলিয়ে গেছে। লোকজনের আয় রোজগারের পথ বন্ধ হয়েগেছে। অর্ধহারে অনাহারে তাদের জীবন চলছে।
এর মধ্যেও ক্ষুদ্র ঋণে বিনিয়োগকারি এনজিও গুলো কিস্তি আদায়ের জন্য চাপ অব্যাহ রখেছেন। বিষয়টি পত্র পত্রিকায় ফলাও করে প্রকাশিত হলেও এনজিও মালিক পক্ষ তা কর্ণপাত করছেনা।
অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়দেব চক্রবর্তী বলেন, ‘আমার কাছে ভবদহ এলাকার কয়েকজন ঋণ গ্রহীতা এনজির কিস্তির টাকা আদায় সাময়িক বন্ধ রাখার জন্য আবেদন করেছিলেন। আমি সে গুলো উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। জানিনা সে গুলো আমলে নিয়েছে কি না।’
উপজেলা সম্জ সেবা অফিস সূত্রে জানা গেছে গত কয়েক দিন আগে উজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা সকল এনজিদের ডেকে কিস্তি আদায় বন্ধ রাখার জন্য আহবান করেছেন। কিন্তু এনজিওরা তা মনছে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উন্নয়ন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত যশোর জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এস এম শাহীন বলেন, এনজিও’র কিস্তি আদায় বন্ধ রাখার জন্য ইতোমধ্যে  জেলা প্রশাসক মহোদয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। আগামী রবিবার জেলা প্রশাসকের সাথে এনজিও সমন্বয় পরিষদের সভা আছে। ওই সভায় এ বিষয়ে সিন্ধান্ত নেওয়া হবে।
নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক এলাকার একজন ঋণ গ্রহীতা বলেন, জলাবদ্ধতার করনে আমার বাড়ি ঘর ডুবে গেছে। মাছের ঘের, সবজি ক্ষেত সব ভেসে গেছে। পরিবার পরিজন নিয়ে অর্ধহারে অনাহারে দিন কাটাচ্ছি। এর মধ্যে এনজিওরা কিস্তি আদায় করতে যাচ্ছে। আমি সব কিছু বুঝিয়ে বলছি। কিন্তু তারা টাকা না দিলে বাড়ি থেকে নামছে না। বৃহস্পতি বার আবার তারা বাড়িতে আসবে। এ অবস্থায় বাড়ি ছেড়ে পালানো ছাড়া আর কোন উপায় নেই।