প্রিয়ব্রত ধর,ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি:
ভবদহ জলাবদ্ধতা যশোর অভয়নগর,মনিরামপুর,কেশবপুর অঞ্চলের ৯৬টি হিন্দু অধুষ্যিত গ্রাম সহ ২শ গ্রাম মানুষের দুঃখের কারণ।
দিনের পর দিন পার হয় আর দুঃখ বাড়ে এ জনপদের। ৪৭টা বিলের পানি বের হওয়ার প্রধান মাধ্যম হল এ ভবদহ সুইট গেট। ৪৭টা বিলের পানি মুক্তেশ্বরী নদী হয়ে ভবদহ সুইট গেট হয়ে টেকা ও শ্রী নদী দিয়ে নিষ্কাশিত হয়।
নামে শ্রী নদী হলেও বাস্তাবে এ নদীর কোন শ্রী নাই।
নদী সংস্কারে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার বরাদ্ধ আসলেও অজানা কোন কারণে সমাধান হয় না এ জলাবদ্ধতার।
এ নিয়ে কথা হয় ভুক্তভোগী মানুষের সাথে।
হাটগাছা গ্রামের পিবু পদ বিশ্বাস জানান ভবদহ সংষ্কার নিয়ে কিছু শুভঙ্করের ফাকি আছে। কিছু লোক চাইলেই সমাধান হয় তবে তাদের আয়ের উৎসটাকে বাঁচিয়ে রাখতে সমাধান করে না।
সুন্দলী গ্রামের কৃষক উত্তম মন্ডল জানান জলাবদ্ধতার কারণে আমার বিলে কোন ধান চাষ হয় না,নিজের বাড়ির ওঠানেই সবজি চাষ করে জীবন পার করছি,ভবদহের সমাধান না হলে অচিরেই আমাদের স্থান ত্যাক করতে হবে। মুক্তেশ্বরী ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক কানু বিশ্বাস বলেন ভবদহের জলাবদ্ধতা চাইলেই সমাধান হয় কিছু লোকের সার্থের কারণে সমাধান হয় না,যাদের হাতে সমাধান তারাই এ সমস্যা তৈরি করে রাখছে। ভবদহরে স্থায়ী সমাধান হলে ওদের ব্যবসা মার হয়ে যাবে।
রাজাপুর গ্রামের শ্যামল রায় জানানা শুধু ভবদহের সমাধান করলেই হবে না,ভবদহের বিকল্প হিসাবে আমডাঙ্গা খালও সংষ্কার করতে হবে ও প্রসস্ত করতে হবে, গবিন্দপুর গ্রামের বাপন মল্লিক জানান মাছ চাষিরা পুলের মুখে মুখে ঘের তৈরি করে মাছ চাষ করছে ফলে পানি বেরোতে পারে না,ফলে পানির গতি কম থাকায় সহজে পলিতে ভরাট হয় নদী আর খাল।
সুন্দলী গ্রামের জগদীস বিশ্বাস জানান ভবদহের জলাবদ্ধতা নিয়ে কোন গবেষণা ছাড়াই কোটি কোটি টাকা প্রকল্প হয়,দিন শেষে ফল হয় শুণ্য,টি আর এম ই হতে পারে মুখ্য সমাধান। হাজিরহাট বাজারের বাসিন্দা সুকৃতী বিশ্বাস বল্লেন দিন আসে দিন যায় জলাবদ্ধতা জলাবদ্ধতাই থেকে যায়।জলাবদ্ধতা শেষ হলে কী প্রশ্রুতি দিয়ে ভোট চাইবে, জলাবদ্ধতা তো ভোট ব্যাংক।
মশিয়াহাটি গ্রামের হরিনাথ বিশ্বাস বল্লেন ৯৬ অঞ্চলকে বিতাড়িত করার জন্য ভবদহ সমস্যার সমাধান করা হয় না।
সাম্প্রতিক সরকারি ভাবে সেচ প্রকল্প চালু করলেও কোন ফল আসেনী ভুক্ত ভোগীদের। এ বিষয়ে মশিয়াহাটি গ্রামের কনোজ চন্ডাল তার ফেজবুকে পোস্ট করেন সেচের মাধ্যমে জলাবদ্ধতার সমাধান যেন ষাড়ের বান থেকে দুধ বার করার মত।
এমন হাজারও মন্তব্য ভুক্তভোগীদের।
তবে তাদের একটাই টাওয়া টি আর এম চালুর মাধ্যমে জলাবদ্ধতার সমাধান সম্ভাব।
Attachments
প্রকাশক ও সম্পাদক :
মোঃ কামরুল ইসলাম
মোবাইল নং : ০১৭১০৭৮৫০৪০
Copyright © 2025 অপরাজেয় বাংলা. All rights reserved.