ব্রাজিলের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সময় এখনই: তিতে

সম্প্রতি রবার্তো কার্লোস জানিয়েছিলেন ব্রাজিলের আগামী কাতার বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার প্রত্যাশার কথা। কিংবদন্তি সাবেক এই ডিফেন্ডারের সুর যেন প্রতিধ্বনিত হলো দলটির প্রধান কোচ তিতের কণ্ঠে। তার বিশ্বাস, রেকর্ড পাঁচবারের শিরোপাজয়ী সেলেসাওদের ২০ বছরের অপেক্ষা ঘোচানোর উপযুক্ত সময় এখনই।
২০০২ সালে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় যৌথভাবে আয়োজিত বিশ্বকাপে শেষবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ব্রাজিল। ফাইনালে তারা জার্মানিকে হারিয়েছিল ২-০ গোলে। এরপর অনুষ্ঠিত হয়েছে ফুটবলের মহাযজ্ঞের আরও চারটি আসর। কিন্তু শিরোপা ছুঁয়ে দেখা তো দূরের কথা, ফাইনালেই ওঠা হয়নি ব্রাজিলের। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে স্বাগতিক হিসেবে খেললেও তাদেরকে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল চতুর্থ স্থান নিয়ে।
গত বছর ঘরের মাঠে ফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে হেরে কোপা আমেরিকার শিরোপা খোয়ালেও বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব দারুণ কেটেছে তিতের শিষ্যদের। দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইয়ে শীর্ষস্থান দখল করে তারা পেয়েছে কাতারের টিকিট। ১৭ ম্যাচে ১৪ জয় ও ৩ ড্রয়ে তাদের অর্জন রেকর্ড ৪৫ পয়েন্ট। ফলে বরাবরের মতো এবারও ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরের সেরা হওয়ার দৌড়ে অন্যতম ফেভারিট ব্রাজিল।
সোমবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিতে আশাবাদ জানান চূড়ায় ওঠার, ‘আমি আশাবাদী, পাশাপাশি মনোযোগীও। আমরা বিশ্বকাপে পৌঁছে গেছি। এখন সময় ফাইনালে পৌঁছানোর ও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। এটাই সত্যি কথা।’
বিশ্বকাপের সফলতম দল হওয়ায় ব্রাজিলকে ঘিরে প্রত্যাশার পারদ সবসময়ই থাকে চড়া। সেখান থেকে সৃষ্ট চাপ যে সমস্যাও তৈরি করে তা স্পষ্ট করে বলেন তিতে, ‘অন্যান্য পরিস্থিতির কারণে গত বিশ্বকাপে আমি কোচ ছিলাম (সাবেক কোচ দুঙ্গা ২০১৬ সালে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন এবং তিতে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন)। এবার আমার (দুই বিশ্বকাপের মাঝে) চার বছরের চক্র সম্পূর্ণ করার সুযোগ হয়েছে। আমাদেরকে ঘিরে প্রত্যাশা অনেক বেশি। তবে আমরা পরিশ্রম করার দিকে মনোযোগী। আমরা যে তীব্র চাপে থাকি, সেটা অবশ্য একটা সমস্যা।’
তিতের কোচিংয়ের কৌশল নিয়ে সমালোচনা আছে। নিন্দুকদের উদ্দেশ্যে পাল্টা প্রশ্ন ছোঁড়েন তিনি, ‘লোকেরা আর কী প্রত্যাশা করছে? আমরা বাছাইপর্বে রেকর্ড গড়েছি (সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট অর্জনের)। (আমার অধীনে) আমরা সবচেয়ে বেশি সময় ধরে অপরাজিত আছি। (২০১৮ সালের বাছাইয়ে) ১২ ম্যাচ ও এখন (২০২২ সালের বাছাইয়ে) ১৭ ম্যাচ। সবমিলিয়ে ২৯ ম্যাচ।’আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় কাতার বিশ্বকাপে ‘জি’ গ্রুপে খেলবে ব্রাজিল। তাদের তিন প্রতিপক্ষ হলো সুইজারল্যান্ড, সার্বিয়া ও ক্যামেরুন। গত বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বেও সুইস ও সার্বিয়ানদের মুখোমুখি হয়েছিল তারা।