Type to search

বেপরোয়া হয়ে উঠছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সিন্ডিকেট চক্র

জেলার সংবাদ

বেপরোয়া হয়ে উঠছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সিন্ডিকেট চক্র

অপরাজেয় বাংলা ডেক্স
কাস্টমস হাউসে নামে-বেনামে লাইসেন্স ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানিসহ নানা অপকর্ম করছে সিন্ডিকেট চক্রটি।

বেপরোয়া হয়ে উঠছে দেশের প্রধান রাজস্ব আদায়কারী প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সিন্ডিকেট চক্র। এই চক্রে রয়েছে অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী, দালাল, আমদানিকারক ও সিএন্ডএফ এজেন্টস। একের পর এক জালিয়াতি ও শুল্ক ফাঁকি দিয়ে পণ্য পাচারের ঘটনা উদঘাটন হচ্ছে এ প্রতিষ্ঠানে।

২০১৭ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে ক্যাপিটাল মেশিনারিজের আড়ালে ১৩৪ কোটি টাকার ১৬ হাজার ১৭০ বোতল মদের চালান আটক করা হয়। ২০১৮ সালে চট্টগ্রাম কাস্টমসের সাবেক দুই কর্মকর্তার আইডি ব্যবহার করে বন্দর থেকে ৩ হাজার ৭৭৭টি চালান খালাসের ঘটনার কুলকিনারা হয়নি। ২০১৯ সালে বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানির নামে ক্যাপিটাল মেশিনারিজ ঘোষণা দিয়ে বিপুল মদ ও বিয়ার আমদানি করে বিপাশা ইন্টারন্যাশনাল ও এএমএমএস লজিস্টিক সিএন্ডএফ এজেন্ট।

সম্প্রতি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সিয়াম এন্টারপ্রাইজ মিথ্যা ঘোষণায় উচ্চ শুল্কের ২১ হাজার ৬০ কেজি শিশুখাদ্য নিয়ে আসে। এ ঘটনায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আমদানিকারককে ৭৬ লাখ টাকা জরিমানার পাশাপাশি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র নেয়ার শর্ত দেয়। পরে সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান খান এন্টারপ্রাইজ, আমদানিকারক ও সিন্ডিকেট চক্র বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ভুয়া ওয়েবসাইট খুলে বন্দর থেকে পণ্য ছাড়ের চেষ্টা চালায়।

চট্টগ্রাম সিআইডির পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শাহনেওয়াজ খালেদ বলেন, এই মামলায় আমরা ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছি। ছয়জনই বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে যারাই জড়িত বা যে কয়টি চক্র আছে তাদেরকে ধরতে আমরা সদা তৎপর আছি।

পণ্যমূল্য ফাঁকি ও গুণগত মান জালিয়াতি করে সিন্ডিকেট চক্র চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। তবে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টসের সাধারণ সম্পাদক জানান ভিন্ন কথা।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন বাচ্চু বলেন, প্রত্যেকটা চক্রের সঙ্গে একটি করে দালাল চক্রও সক্রিয় আছে। আমরাও বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে সরকারি কর্মকর্তাদের দ্বারা হয়রানির শিকার হচ্ছি। তাদের হয়রানির প্রতিবাদ করলেই তারা আমাদের দোষ দেয়।

জালিয়াতির মাধ্যমে পণ্য খালাস করে রাতারাতি বিত্তবৈভবের মালিক বনে গেছে আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টসদের সিন্ডিকেট।

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সাবেক পরিচালক মাহাফুজুল হক শাহ বলেন, এরকম অনেক চক্র দীর্ঘদিন থেকে কাজ করছে। দ্রুত যদি এদের বিষয়ে ব্যবস্থা না নেয়া হয় তাহলে জাল-জালিয়াতির ঘটনা আরও বেড়ে যাবে। প্রকৃত ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

এসব বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি কাস্টম কমিশনার।

সূত্র, DBC বাংলা