বেনাপোল কাস্টমসে ১১ মাসে রাজস্ব আদায় ৩ হাজার ৭৫৬ কোটি টাকা

গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই-মে) লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২৮৫ দশমিক ৪৮ কোটি টাকার রাজস্ব বেশি আদায় হয়েছে। যা শতকরা ৫২ দশমিক ১ শতাংশ বেশি।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, দেশের স্থলপথে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের বেশিরভাগ আমদানি হয় বেনাপোল বন্দর দিয়ে। তবে, এখন মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে উচ্চ শুল্ক হারের পণ্য আমদানি কমে গেছে।
তাছাড়া চাহিদা অনুপাতে বেনাপোল বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন হলে দ্বিগুণ পরিমান রাজস্ব আদায় সম্ভব হবে বলেও জানান বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ।
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল জানান, বন্দরের জমি অধিগ্রহণের পাশাপাশি বন্দরে নির্মাণ করা হয়েছে কয়েকটি আধুনিক পণ্যাগার। এখন বন্দরের মধ্যে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ চলছে এবং বন্দরের নিরাপত্তা বাড়াতে উঁচু প্রাচীরও নির্মাণ করা হয়েছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউজের কমিশনার আজিজুর রহমান জানান, প্রায় দেড় বছরের বেশি সময় ধরে বিশ্বে করোনার প্রভাব চলছে। দেশে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে কয়েক মাস বেনাপোল-পেট্রোপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রাখা হয়েছিল। দেশে অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখতে পুনরায় দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি সচল করা হয়।
এদিকে করোনার মধ্যে আমদানি বাড়লেও উচ্চ শুল্কহারের পণ্য কম এসেছে। তবে, তারা ব্যবসায়ীদের বৈধ সুবিধা বাড়ানোর পক্ষে কাজ করছেন। এছাড়া ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য এরই মধ্যে বন্দর কর্তৃপকে চিঠি দেওয়া হয়েছে । বন্দরের সমতা বাড়লে বেনাপোল বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি বেড়ে যাবে এবং এ বন্দর দিয়ে রাজস্ব আদায় দ্বিগুণ করা সম্ভব বলে তিনি জানান।সূত্র, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম