Type to search

বিশ্ব পরিবেশ দিবস : রাষ্ট্র ও সমাজ চেতনা- বিলাল মাহিনী

অন্যান্য

বিশ্ব পরিবেশ দিবস : রাষ্ট্র ও সমাজ চেতনা- বিলাল মাহিনী

বিশ্ব পরিবেশ দিবস (সংক্ষেপে WED) প্রতি বছর ৫ জুন বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক কর্মোদ্যোগ আর জনসচেতনতার মাধ্যমে পরিবেশ সচেতনতার লক্ষ্যে পালিত দিবস।দিবসটি প্রথম পালিত হয় ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দে।
১৯৭৪ সালে সম্মেলনের প্রথম দিন ৫ এজুনকে জাতিসংঘ ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা দেয়। ১৯৭৪ সাল থেকে প্রতিবছর দিবসটি বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে আসছে।
পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রতি বছর কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়। পরিবেশ অধিদপ্তর ও বন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকেও নানা কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়ে থাকে।
এ উপলক্ষ্যে সপ্তাহব্যাপী পরিবেশ মেলা এবং মাসব্যাপী জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষ মেলার আয়োজন করা হয়।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে ৫ জুন থেকে ১১ জুন পর্যন্ত পরিবেশ মেলা ও ৫ জুন হতে ৪ জুলাই পর্যন্ত জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা ২০২২’র উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। জাতীয় সংবাদপত্রে বিশেষ ক্রোড়পত্র এবং পরিবেশ অধিদপ্তর ও বন অধিদপ্তর থেকে স্মরনিকা প্রকাশ করা হবে।

১৯৭২ সালে জাতিসংঘের মানবিক পরিবেশ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে গ্রহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচীর (ইউএনইপি) উদ্যোগে প্রতি বছর সারাবিশ্বের একশ’টিরও বেশি দেশে ৫জুন ‘ বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। বিশ্বেও অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে সরকারী ও বেসরকারী বিভিন্ন সংগঠন নানা ধরনের কর্মসীচী পালন করবে।

এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘ একটাই পৃথিবী: প্রকৃতির ঐক্যতানে টেকসই জীবন ’ এবং এবারের জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘ বৃক্ষ- প্রাণে প্রকৃতি প্রতিবেশ, আগামী প্রজন্মের টেকসই বাংলাদেশ ’।
এ উপলক্ষ্যে জাতীয় সংবাদপত্রে বিশেষ ক্রোড়পত্র এবং পরিবেশ অধিদপ্তর ও বন অধিদপ্তর থেকে স্মরনিকা প্রকাশ করা হয়ে থাকে প্রতি বছর। দিবসটি কেন্দ্র করে সকল মোবাইল ফোন অপারেটরের মাধ্যমে ক্ষুদেবার্তা পাঠানো হবে ও ওয়েলকাম টিউন সংযোজন করার ব্যবস্থা করা হয়।
পরিবেশ দিবস উপলক্ষে শিশু চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, স্লোগান প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়ে থাকে।

এছাড়াও পরিবেশ বিষয়ক সেমিনার, রাউন্ড টেবিল আলোচনা, পরিবেশ সচেতনতামূলক কার্যক্রম, পরিবেশ অধিদপ্তর সম্পর্কিত বুকলেটের পরিমার্জিত সংস্করণ প্রণয়ন ও প্রকাশ, ইটিপি বিহীন ও দূষণকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের জন্য সচেতনতামূলক সেমিনার আয়োজন করা হয়।

আসুন, আমরা গাছ লাগাই। গাছের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তুলি। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটু সবুজ রেখে যাই। বিশ্বকে বসবাসযোগ্য করে তুলি। সবুজ ও সুন্দরে ভরে ‍উঠুক সোনার বাংলাদেশ।

বিলাল মাহিনী, বার্তা সম্পাদক- অপরাজেয় বাংলা (নিউজ পোর্টাল)
নির্বাহী সম্পাদক : ভৈরব সংস্কৃতি কেন্দ্র, যশোর।