থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ইংরেজি নববর্ষ বরণে প্রতি বছর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বিপুল পরিমাণ পর্যটকের সমাবেশ হলেও এবারের চিত্র ভিন্ন। গত বছর করোনা মহামারির কারণে সমুদ্রতীরে চলাচলে বিধি-নিষেধ থাকলেও এবার নানা কারণে পর্যটকদের আগমন ঘটছে না সমুদ্রতীরে।
ধর্ষণের ঘটনাসহ সাম্প্রতিক নানা ইস্যুতে কক্সবাজারের সাড়ে চার শতাধিক হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউসে অর্ধেকেরও বেশি কক্ষ ফাঁকা রয়েছে। এসব ঘটনা রিরূপ প্রভাব ফেলছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
হোটেল মোটেল ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতি বছর থার্টিফার্স্ট নাইট ও নববর্ষ উদযাপনে কম হলেও লক্ষাধিক পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে আসেন। কিন্তু এ বছর ভিন্ন চিত্র। যে কারণে তারা হতাশ।
কক্সবাজার কলাতলীর একটি হোটেলের ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হোটেলের অর্ধেকের কম সংখ্যক কক্ষ খালি রয়েছে। অথচ অন্যান্য বছর এই সময়ে কোনো কক্ষই ফাঁকা থাকে না। সম্প্রতি দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হ ধর্ষণের ঘটনা কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে জানান তিনি।
কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার বলেন, বাস্তবে কক্সবাজারে কিন্তু পর্যটকদের নিরাপত্তাজনিত কোনো সমস্যা নেই। সম্প্রতি খাবারের দাম বেশি নেওয়া এবং ধর্ষণ এ দুটি ঘটনায় কক্সবাজারের বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে গেছে।
তবে কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান বলেন, সাম্প্রতিক ঘটনার কিছুটা প্রভাব রয়েছে। তবে এ ধরনের ঘটনার যেন কোনোভাবেই আর পুণরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য টুরিস্ট পুলিশ সজাগ রয়েছে।
তিনি বলেন, থার্টিফার্স্ট নাইটকে কেন্দ্র করে সমুদ্র সৈকতছাড়াও আশপাশের যেসব পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে সেখানেও টুরিস্ট পুলিশের তৎপরতা আগের চেয়ে বাড়ানো হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো.মামুনুর রশীদ জানান, সমুদ্র সৈকতসহ আশপাশের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে টুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একাধিক ভ্রাম্যমান টিম কাজ করছে। তাদের সকলের লক্ষ্য পর্যটকদের নিরাপত্তা দেওয়া।
প্রকাশক ও সম্পাদক :
মোঃ কামরুল ইসলাম
মোবাইল নং : ০১৭১০৭৮৫০৪০
Copyright © 2025 অপরাজেয় বাংলা. All rights reserved.