Type to search

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে বিবর্তনের ৩দিনের কর্মসূচী

যশোর

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে বিবর্তনের ৩দিনের কর্মসূচী

স্বীকৃতি বিশ্বাস, যশোরঃ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মদিন উপলক্ষে ঐতিহ্যবাহী নাট্য সংগঠন বিবর্তন যশোর তিন দিনের জন্য কর্মসূচি গ্রহন করেছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) বিকালে চিত্রংকন প্রতিযোগীতার মাধ্যমে তিন দিনের কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করা হয়। যশোর জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ তমিজুল ইসলাম খান এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। বিবর্তনের সভাপতি নওরেজ আলম খান চপলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত সংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সুকুমার দাস, সাধারন সম্পাদক সানোয়ার আলম খান দুলু, শিল্পকলা একাডেমির সাধারন সম্পাদক এ্যাডঃ মাহমুদ হাসান বুলু, স্পন্দনের শরিফুল ইসলাম, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারন সম্পাদক সাজেদ রহমান বকুল, উপদেষ্টা অর্চনা বিশ্বাস, হারুন অর রশীদ প্রমুখ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা ছোট খোকা থেকে কিভাবে বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠেন সে বিষয় নিয়ে আলোচনাসহ বঙ্গবন্ধুর জীবন ও দর্শন নিয়ে বেড়ে উঠার জন্য উদ্বুদ্ধসহ দেশ ও মানুষের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করতে মানুষের মতো মানুষ হওয়ার জন্য পড়ালেখার পাশাপাশি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের চর্চা অব্যাহত রাখতে বলা হয়। কর্মসূচিতে আগামীকাল শুক্রবার (১৭ মার্চ) থাকবে কবিতা আবৃত্তির প্রতিযোগীতা ও পুরস্কার বিতরণ এবং আগামী পরশু শনিবার (১৮ মার্চ) ঢাকার শিশুদের নাটক মঞ্চায়নের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ হবে। উল্লেখ্য সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি,স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ তদানীন্তন ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার নিভৃতপল্লী টুঙ্গীপাড়ায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে জন্ম নেয়া শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যদিয়ে পাকিস্তানি শাসন ও শোষন থেকে পূর্ব বাংলার জনগণকে মুক্ত করতে আজীবন সংগ্রান করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলেন। বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য তিনি নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেন। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পথ পেরিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতিই শুধু নন, বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের মুক্তি সংগ্রামের অনুপ্রেরণার উৎসও হয়ে উঠেন। আর তাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ১৭ মার্চকে স্মরণ করে দিবসটিকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালিত হয় এবং বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ রাষ্ট্রীয়ভাবে নেওয়া হয় বিভিন্ন কর্মসূচি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *