স্বীকৃতি বিশ্বাস, যশোরঃ
বখাটেদের উত্ত্যক্তে অতিষ্ঠ হয়ে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী অনি রায় আত্মহত্যার আশ্রয় নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আজ সোমবার (২৭ মার্চ) সকালে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার হাসপাতাল রোডের মিস্ত্রিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। নিহতের বাবা গৌতম রায় দীর্ঘদিন যাবত প্রবাসে থাকেন।
নিহতের ভাই কলেজছাত্র অর্ঘ্য রায় বলেন, আমার বোন ঝিকরগাছা বিএম হাই স্কুলের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। আজ সকাল আটার দিকে সে স্কুলে কোচিং করতে যায়। কোচিং শেষে সকাল দশটার দিকে বাড়ি ফিরে ঘরের দরজা আটকে মায়ের শাড়ি গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। ওই সময় মা রান্নাঘরে এবং আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। পরে মায়ের চিৎকারে ঘরের ভেন্টিলেটর দিয়ে উঁকি মেরে দেখি, বোন আমার ঝুলে রয়েছে। প্রতিবেশীদের সহায়তায় ঘরের দরজা ভেঙে বোনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অর্ঘ্য রায় আরও বলেন, হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারি, কিছুদিন ধরে একই স্কুলের কয়েক ছেলে আমার বোনকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। আজ সকালে কোচিং শেষে ফেরার পথে ওই ছেলেরা আবার উত্ত্যক্ত করে। তাদের নিষেধ করলে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে তারা আমার বোনকে ধাওয়া করে। ওদের ধাওয়ায় বোন বাসায় এসে মায়ের কাছ থেকে তার ফোন নিয়ে এক বান্ধবীকে কল দেয়। কিন্তু সে ফোন কল রিসিভ করেনি। এরপরই সে ঘরের ভেতর থেকে ছিটকিনি আটকে ফাঁস দেয়। ঘটনায় জড়িত বখাটেদের চিহ্নিত করে দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান ।
জানতে চাইলে ঝিকরগাছা বিএম হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ বলেন, ঘটনা শুনে ওই স্কুল ছাত্রীর বাসায় গিয়েছিলাম। কারা তাকে উত্ত্যক্ত করতো, বিষয়টি আমার অজানা। মেয়েটি ছাত্রী হিসেবে ভালো, খেলাধুলায়ও ভালো। তার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ ছিল না। খোঁজখবর নিচ্ছি, যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ঝিকরগাছা থানার ওসি সুমন ভক্ত বলেন, বখাটেদের ধাওয়ায় স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে এমন কোনও তথ্য আমার কাছে নেই। এ বিষয়ে আমাকে কেউ জানায়ওনি। তবে সকালে এক স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আত্মহত্যার কারণ উদঘাটনে আমরা চেষ্টা করছি। জানতে পারলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রকাশক ও সম্পাদক :
মোঃ কামরুল ইসলাম
মোবাইল নং : ০১৭১০৭৮৫০৪০
Copyright © 2025 অপরাজেয় বাংলা. All rights reserved.