Type to search

ফের ৫ দিনের রিমান্ডে মামুনুল হক

রাজনীতি

ফের ৫ দিনের রিমান্ডে মামুনুল হক

 

 

অপরাজেয় বাংলা ডেক্স : হেফাজতে ইসলামের সদ্য বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হককে আরও ৫ দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত। চলতি বছরের মার্চে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় পল্টন থানায় করা পৃথক দুই মামলায় এ রিমান্ড দেওয়া হয়েছে। একই সাথে তিনটি মামলায় হেফাজত নেতা জুনায়েদ আল হাবীবকে চার দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৪ মে) ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক সত্যব্রত শিকদার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামুনুল হকের আইনজীবী সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবাহ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সাত দিনের রিমান্ড শেষে এ দিন সকালে মামুনুল হককে আদালতে হাজির করা হয়। পরে চলতি বছরের মার্চে বায়তুল মোকাররমে হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় পল্টন থানায় করা ৬০(৩)২১ ধারার মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। অপরদিকে এ ঘটনায় পল্টন থানায় করা ৫৭(৩)২১ ধারার মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য মামুনুলের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। উভয় মামলায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত সিকদারের আদালতে শুনানি হয়।

এর আগে গত ২৬ এপ্রিল মতিঝিল ও পল্টন থানার নাশকতার দুই মামলায় মামুনুলের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ১৯ এপ্রিল মোহাম্মদপুর থানায় হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করে গুরুতর জখম, চুরি মামলায় সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তার আগে ১৮ এপ্রিল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদরাসা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এক মাসের বেশি সময় ধরে ব্যক্তিগত জীবন আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের বিরোধিতা করে হেফাজতের আন্দোলনসহ নানা কারণে আলোচনার কেন্দ্রে আছেন মাওলানা মামুনুল হক।

নরেন্দ্র মোদীর সফরের সময় ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত সহিংসতায় দেশে ১৭ জনের মৃত্যু হয়। এসব সহিংসতার ঘটনায় সারাদেশে প্রায় অর্ধশতাধিক মামলা হয়েছে। মামুনুলকে এসব ঘটনার মূল ইন্ধনদাতা মনে করছে পুলিশ।

এ দিকে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সূত্রে জানা যায়, ২৬ মার্চ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সহিংসতার ঘটনায় গত ৫ এপ্রিল হেফাজতের (বিলুপ্ত কমিটি) যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। মামলায় দুই হাজার ব্যক্তিকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক খন্দকার আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলাটি করেন। সূত্র,দৈনিক অধিকার