দেখতে দেখতে করোনাভাইরাসকে সঙ্গে নিয়েই পেরিয়ে গেলো ২০২০। সিংহভাগ মানুষেরই অর্ধেক বছর কেটেছে সংক্রমণের আতংকে লকডাউনে গৃহবন্দী থেকে। মহামারী কেড়ে নিয়েছে লাখ লাখ প্রাণ। যদিও এরইমধ্যে আবিষ্কার হয়েছে কোভিড-19 এর ভ্যাকসিন। আনুষ্ঠানিকভাবে অনেক দেশেই শুরু হয়েছে টিকাদান, তবুও এখনও আয়ত্তে আসেনি মরণঘাতী এ ভাইরাস। নতুন বছরে কোনদিকে মোড় নেয় পরিস্থিতি, আদৌ ভ্যাকসিন দিয়ে ঠেকানো সম্ভব কি-না এই প্রাণঘাতি রোগকে, সেদিকেই এখন লক্ষ্য সবার।
শেষ পর্যন্ত যে এমন ভয়ংকর আকার নেবে পরিস্থিতি, তা বছরের শুরুতে কেউ ভাবতেই পারেনি। চীনের হুবেই প্রদেশে প্রথম হদিশ মিললো এক অজ্ঞাত ভাইরাসের। মাত্র ২ মাসের মধ্যেই সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়লো নিউমোনিয়ার মত করোনা ভাইরাস।
সংক্রমণে লাগাম টানতে মার্চ থেকে দেশে দেশে জারি হয়েছিল লকডাউন। তবুও পুরোপুরি আয়ত্তে এলোনা মহামারী। পরবর্তীতে অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে বাধ্য হয়ে জুন-জুলাইয়ের দিকেই বহুদেশই শিথিল করে লকডাউন। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের দিকে প্রকোপ কিছুটা কমলেও, নভেম্বর থেকেই পুনরায় শুরু হয়েছে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ।
মহামারীতে বহু ঘটনার মধ্যে অন্যতম ছিল, হজের আনুষ্ঠানিকতা নিয়ে দোটানা। ওমরাহ পালন বন্ধ করে দিলেও পরে শুধু মক্কার বাসিন্দাদের নিয়ে সীমিত পরিসরে পালিত হয় হজ্জ। এছাড়া অনেকটাই কমে গেছে জনসমাগম। বর্তমানে বিভিন্ন সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে অনলাইনে ভার্চুয়াল মিটিং এর মাধ্যমে। জাতিসংঘের অধিবেশন থেকে শুরু করে টেলিভিশন মিডিয়ার সাক্ষাৎকার, সবই হচ্ছে ভার্চুয়ালে।
মহামারীর এই তান্ডবে বসে থাকেননি বিজ্ঞানীরা। এরইমধ্যেই আবিষ্কার হয়ে গেছে একাধিক টিকা। প্রথম সফল উদ্ভাবক হিসেবে অনুমোদন পেয়ে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রসহ আরো বেশকটি দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকাদান কর্মসূচি। আরও রয়েছে মার্কিন কোম্পানি মডার্না, রাশিয়ার স্পুটনিক ফাইভ, চীনের সিনোভ্যাক ও যুক্তরাজ্যের অ্যাস্ট্রাজেনেকার মতো কার্যকরী টিকা। যার সিংহভাগই করোনা দমনে ৯৫ শতাংশ কার্যকর বলে দাবী করে।
তবে ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হলেও, বিশ্বজুড়ে থামেনি সংক্রমণ। ডিসেম্বরেই একদিনে করোনায় রেকর্ড সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃত্যু দেখেছে বিশ্ব। বহু দেশই পুনরায় হাঁটা শুরু করেছে লকডাউনের পথে।
সূত্র,bd24live.com
প্রকাশক ও সম্পাদক :
মোঃ কামরুল ইসলাম
মোবাইল নং : ০১৭১০৭৮৫০৪০
Copyright © 2025 অপরাজেয় বাংলা. All rights reserved.