অপরাজেয় বাংলা ডেক্স : উদ্বোধনের একমাস পার হলেও স্বপ্নের ঘরে উঠতে পারেননি মণিরামপুরের ভূমিহীনরা।
গত ২৩ জানুয়ারি মণিরামপুরের ভূমিহীনদের ২৬২টি ঘর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উচ্ছ্বাস আর নতুন স্বপ্ন নিয়ে অন্য এলাকার ভূমিহীনদের নতুন ঠিকানায় ঠাঁই হলেও মণিরামপুরে ঘটেছে ব্যতিক্রম।
কবে তারা খুপড়ি বা অন্যের আশ্রয় ছেড়ে নতুন ঠিকানায় যেতে পারবেন তাও জানেন না কেউ। নির্ধারিত সময় জানাতে পারেনি উপজেলা প্রশাসনও।
সরেজমিন উপজেলার মাচনা ও হাকোবা এলাকায় দেখা গেছে, হাকোবা এলাকার ১৬টি ঘরের মধ্যে কয়েকটির ছাউনির কাজ এখনো শেষ হয়নি। প্লাস্টারের কাজ বাকি রয়েছে মেঝেসহ ঘরের ভেতর-বাইরের। টয়লেট স্থাপনের কাজ শুরু হয়নি। আর মাচনা এলাকার ৬১টি ঘরের মধ্যে আটটির চুনকাম শেষ হয়েছে। ৫টি ঘরের গাঁথুনি শুরু হয়েছে। বাকিগুলোর প্লাস্টারের কাজ শেষ হয়েছে; চুনকাম বাকি।
এছাড়া, উপজেলার তাহেরপুর, মধুপুর, চাকলা, শিরিলি ও হাজরাইলসহ অন্য এলাকার ঘরগুলোর কোনোটি এখনো উঠার উপযোগী হয়নি। একলাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয়ে সংযুক্ত টয়লেট, রান্নাঘর ও বারান্দাসহ দুই কক্ষের সেমিপাকা রঙিন ২৬২টি ঘরের কাজ চলছে মণিরামপুরে।
মাচনায় একটি ঘর পেয়েছেন বেগমপুর গ্রামের পলি খাতুন নামে স্বামী পরিত্যক্তা এক নারী। তিনি বলেন, ঘরতো পাইছি অনেক আগেই। কবে উঠতি পারব জানিনে। ছেলেমেয়ে নিয়ে ভাড়াবাড়ি থাকছি। অন্যের বাসায় কাজ করে সংসার চলে।
এদিকে, জুলাইয়ের মধ্যে সারাদেশে নতুন আরো একলাখ ঘর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেক্ষেত্রে আয়তন ও জনসংখ্যা হিসেবে মণিরামপুরে আরো তিনশ’ ঘর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, এখনো দ্বিতীয় ধাপের ঘর বরাদ্দ আসেনি বলে জানা গেছে।
ভূমিহীনদের নির্মাণাধীন ঘরগুলো দেখভালের দায়িত্বে থাকা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ বায়েজিদ বলেন, ঘরের কাজ শেষের দিকে। প্লাস্টারের কাজ শেষ হয়েছে। প্লাস্টার শুকিয়ে গেলে রঙের কাজ হবে। আগামী ১৭ মার্চ ঘর হস্তান্তর হতে পারে।
মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসান বলেন, 'শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে। হস্তান্তরের দিনক্ষণ ঠিক করে বলা যাচ্ছে না। দ্রুত হস্তান্তরের চেষ্টা করছি।' সূত্র, সুবর্ণভূমি
প্রকাশক ও সম্পাদক :
মোঃ কামরুল ইসলাম
মোবাইল নং : ০১৭১০৭৮৫০৪০
Copyright © 2025 অপরাজেয় বাংলা. All rights reserved.