অপরাজেয় বাংলা ডেক্স : মহান শহিদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়নি নড়াইল সদর হাসপাতালের শহিদ মিনারে। চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে কেউই শ্রদ্ধা জানাতে যায়নি এ শহিদ বেদীতে। স্থানীয়দের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই অবহেলিত এ শহিদ মিনারটি।
জানা গেছে, ২০১৩ সালে নড়াইল সদর হাসপাতালের অর্থপেডিক্স চিকিৎসক স্বাচিপের (স্বাধীনতা চিকিসক পরিষদ) সদস্য সচিব ডা. আব্দুল কাদের জসিমের উদ্যোগে প্রায় দেড় লাখ টাকা ব্যয়ে টেরাকোটার কাজ সমৃদ্ধ এ শহিদ মিনারটি নির্মাণ করা হয়। এরপর থেকে নড়াইল সদর হাসপাতালের চিকিৎসক, বিএমএ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ, নার্স এবং স্বাস্থ্য বিভাগ ১৬ ডিসেম্বর ও ২১ ফেব্রুয়ারিসহ বিভিন্ন দিবসে শহীদদের উদ্দ্যেশে মাল্যদান করতো।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েক বছর শহিদ মিনারটি অবহেলায় পড়ে রয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসার কাজে আসা মানুষ যখন-তখন জুতা পায়ের শহীদ মিনারে উঠে বসে থাকে।
নড়াইল শহরের বাসিন্দা অ্যাডভোকেট রাজিব আহম্মেদ বলেন, রাত ১২টা ২৫মিনিটের সময় হাসপাতাল চত্বরে গিয়ে দেখি শহিদ মিনারসহ তার চারপাশে কোনো ঝাড়– দেওয়া বা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়নি। সেখানে কাউকে শ্রদ্ধা জানাতেও দেখা যায়নি। পরদিন সকালেও শহিদ বেদিতে কোনো ফুল বা তার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুস সাকুর বলেন, জেলা প্রশাসনের নির্দেশে শহিদ স্মরণে নড়াইলের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে মাল্যদান করা হয়েছে। সে কারণে এখানে মাল্যদান করা হয়নি।
শহিদ মিনার চত্বর পরিস্কারের ব্যাপারে বলেন, হাসপাতালে মাত্র তিনজন সুইপার রয়েছে। এর মধ্যে একজনের ক্যান্সার হয়েছে। যে কারনে হাসপাতাল এলাকা ঠিকমতো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে না।
শহীদদের প্রতি যদি শ্রদ্ধা জানানো না হয় তাহলে শহিদ মিনারটি তৈরি করলেন কেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটি অর্থপেডিক্স চিকিৎসক ডা. আব্দুল কাদের জসিমের উদ্যোগে করা হয়েছিল। মূলত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই শহিদ মিনার থাকে। হাসপাতালে শহিদ মিনারতো কোথাও দেখিনা, তারপরও এখানে পুস্পমাল্য অর্পণ করা যেতে পারতো। শহিদ মিনারে মাল্যদানের টিম লিডার ছিল আরএমও, আপনি তার সাথে একটু কথা বলেন, তিনি ভালো বলতে পারবেন।সূত্র, সুবর্ণভূমি
প্রকাশক ও সম্পাদক :
মোঃ কামরুল ইসলাম
মোবাইল নং : ০১৭১০৭৮৫০৪০
Copyright © 2025 অপরাজেয় বাংলা. All rights reserved.