নড়াইল প্রতিনিধি
ডাক্তার না হয়ে মৃত ডাক্তারের নাম ভাঙ্গিয়ে চেম্বারে রোগী দেখার সময় সকালে কালিয়া থানা পুলিশসহ ভ্রাম্যমান আদালত আটক করে। পরে নড়াইলের কালিয়ার ইউএনও রুনু সাহা কর্তক পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত ওই ভূয়া ডাক্তার মো. মোতাহার আলী হাসানকে (৪৯) এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ডসহ ২৫ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। মোতাহার কুষ্টিয়া সদর উপজেলার টালিপাড়া গ্রামের মো.খোরশেদ আলীর ছেলে। তিনি ২০১৭ সালে মৃত্যু বরণ করা ডাক্তার মো. সামিউল কবিরের নাম ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে রোগী দেখার নামে প্রতারণা করে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
আদালত সুত্রে জানা যায়, মো.মোতাহার হাসান আলী নিজের প্রকৃত নাম ও পরিচয় গোপন করে মৃত্যু বরণকারি ডাক্তার মো. সামিউল ইসলামের সনদপত্র ও নাম ব্যবহার করেছেন।তিনি উপজেলার কালিয়া সদর বাজারের বিসমিল্লাহ ফার্মসিতে চেম্বার খুলে প্রায় ৭/৮ মাস ধরে রোগীদের আল্ট্রাসনাগ্রাম,নাক, কান ও গলার চিকিৎসার নামে প্রতারণা করে আসছিলেন।
বিষয়টি জানাজানি হলে বুধবার সকাল ১০ টার দিক কালিয়ার ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজ্যিষ্ট্রট রুনু সাহা পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে হাতে নাতে আটক করে।পরে প্রতারণার বিষয়টি প্রকাশ পায়।অপরদিকে ভ্রাম্যমান আদালত তাকে ওই দন্ডাদেশ দেন।
বিসমিল্লাহ ফার্মসির মালিক মো. মনিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তিনি এই প্রতারকের প্রতারণার বিষয় আগে কিছু জানতে পারেননি।
কালিয়ার ইউএনও রুনু সাহা বলেন, গেপন সংবাদের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়েছে। নিজে ডাক্তার না হয়ে অন্যের নাম ব্যবহার করে রোগী দেখার নামে প্রতারণার অভিযোগ তাকে দন্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক :
মোঃ কামরুল ইসলাম
মোবাইল নং : ০১৭১০৭৮৫০৪০
Copyright © 2025 অপরাজেয় বাংলা. All rights reserved.