নড়াইলে সহিংসতাই হয়নি! তবু দুই থানায় মামলা ॥ শতাধিক আসামি! গ্রেফতার আতংকে বিএনপি নেতা-কর্মীরা আবারও বাড়িছাড়া

নড়াইল প্রতিনিধি
আগের মামলায় পলাতক জীবন কাটানোর পর কিছু দিন আগে জামিনে বাড়িতে ফিরলেও আবারও বাড়ি ছাড়া বিএনপি, সহযোগী সংগঠন ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় কোটা সংস্কার আন্দোলন সহিংসতার পর বর্তমান জেলা বিএনপি, সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা আত্মগোপনে। নড়াইলে কোটা সংস্কার আন্দোলনে কালিয়া ও নড়াগাতি থানায় শতাধিক বিএনপি-নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে দু’টি মামলা এবং কয়েকজন গ্রেফতার করায় আবারো তারা আত্মগোপনে চলে গিয়েছে।
খাোজ-খবর নিয়ে জানা গেছে,কোটা সংস্কার আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন জেলার শিক্ষার্থীরা মাঠে নামলেও নড়াইলে ছিল ভিন্ন চিত্র। এখানে ১৮ জুলাই সকালে শিক্ষার্থীরা নড়াইল সরকারি ভিক্টারিয়া কলেজের কুড়িরডোব মাঠে সংস্কারের দাবিতে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলেও স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের বাধার কারণে মিছিল-সমাবেশ করতে পারেনি। তবে কোটা আন্দোলনকারীদের সমর্থনে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ছাত্রদল নড়াইলে শান্তিপূর্ণ মিছিল-সমাবেশ করে।
এদিকে গত ২৮ অক্টাবরের ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ সহিংসতার পর সদর,লোহাগড়া ও কালিয়া থানায় বিএনপির ৭৭ জন জ্ঞাত ও ৬০-৭০ জন নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ৩টি নাশকতার মামলা হয়। এ সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ ৩৮ জন নেতা-কর্মী গ্রেফতার হবার পর দলটির নেতা-কর্মীরা গা ঢাকা দেয়।
কালিয়া ও নড়াগাতি থানা সূত্রে জানা গেছপ, ২৪ জুলাই কালিয়া থানায় বিএনপি-জামায়াত ইসলামীর ৪৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৫০/৬০জন এবং ২১ জুলাই নড়াগাতী থানায় জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমসহ ৫১জনের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা হয়। এ দুটি মামলায় মোট ৪ জন আসামি গ্রেফতার হয়। এ মামলার পর থেকে নড়াইলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা নতুন করে আত্মগোপনে চলে গিয়েছে।
বিএনপি দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত জেলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নাশকতার মোট মামলা হয়েছে ৩৭টি। এসব মামলায় জ্ঞাত আসামির সংখ্যা ১হাজার ১৭৩ শ জন।
জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুব মোর্শেদ জাপল জানান,কোটা আন্দোলনকারীদের সমর্থনে জেলা ছাত্রদল গণতান্ত্রিক আন্দোলন করলেও কোনো সহিংসতায় জড়ায়নি। এ ছাড়া জেলার কেথাও কোটা আন্দোলনে কোনো প্রকার সহিংসতা হয়নি। কি বিএনপি,সহযোগী ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নামে মামলা হওয়ায় এখন তারা আবার বাড়ি ছাড়া। আমরা এ মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ, নিন্দা ও মামলা প্রত্যাহার এবং নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলামকে ফোন করলে তাদের ফেন বন্ধ পাওয়া যায়।