Type to search

নড়াইলে শীতে বেড়েছে ঠান্ডা জনিত রোগ। হাসপাতালে উপচে পড়া ভিড়

নড়াইল

নড়াইলে শীতে বেড়েছে ঠান্ডা জনিত রোগ। হাসপাতালে উপচে পড়া ভিড়

 নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইলে  শীতের প্রভাব বেড়েছে। ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও  হাসপাতালে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
বিশেষ করে জেলা সদর হাসপাতালের  পরিস্থিতি নাজুক। শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ঠান্ডা কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে জেলাজুড়ে। বিশেষ করে নবজাতক, শিশু ও বৃদ্ধরা এসব রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি। শীতের শুরুতেই পরিস্থিতি জটিল হওয়ায় রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন   আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা। হাসপাতালটিতে শয্যার চেয়ে বেশি রোগী হওয়ায় অনেকেই মেঝেতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়,শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ, বিভিন্ন বয়সের রোগীর ভিড়। এদের মাঝে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই বেশি। প্রায় অর্ধ শতাধিক  মানুষ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে শুধু মেঝেতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।জরুরি বিভাগ ও বহির্বিভাগে আসা রোগীর অভিভাবকদের বেশির ভাগই রোগীদের নিউমোনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্টের কথা জানিয়েছেন। চিকিৎসকরা শারীরিক অবস্থা দেখে ভর্তি করছেন। বাকিদের চিকিৎসা পরামর্শ দিয়ে বাড়ি পাঠাচ্ছেন। তবে রোগীর স্বজনরা জানান, শয্যা সংকটের কারণে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে তাদের।
শিলা দাশ জানান, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর মাথাব্যথার সমস্যা প্রবল আকার ধারণ করেছে। সকালে হাসপাতালে এসে ভর্তি হন তিনি। মূলত অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণেই তাঁর এমনটা হচ্ছে বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
তামান্না নামে এক রোগীর স্বজন জানান, তাঁর সত্তর বছর বয়সী নানিকে নিয়ে তিনি হাসপাতালে এসেছেন। ঠান্ডার কারণে তিনি জ্বরে ভুগছেন। আরেক অভিভাবক  উজ্জল  বলেন, তাঁর নবজাতক সন্তানের ঠান্ডা লেগেছে। জ্বরের সঙ্গে সর্দি দেখা দিয়েছে। তাই তাঁকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন।
এ ব্যাপারে সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, অনেক সময় দেখা যায় মা-বাবা শিশুকে অতিরিক্ত কেয়ার করতে গিয়ে বেশি উষ্ণতা দিয়ে ফেলছেন। এতে শিশুর শরীর থেকে যে ঘাম বের হয়, সেটি তাঁর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এ ছাড়া সারাদিন দরজা-জানালা বন্ধ রাখার কারণে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা হচ্ছে। শীত বেশি হলে শিশুদের এমনিতেই শারীরিক সমস্যা বাড়ে। তাই অভিভাবকদের আরও সচেতন থাকতে হবে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া শিশুকে নিয়ে বাইরে যাওয়া যাবে না। এ ছাড়া শিশুর সুষম খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ আব্দুল গফফার বলেন, ঠান্ডা বাড়ায় হাসপাতালে রোগী বাড়ছে। চিকিৎসকরা তাদের সাধ্যমতো সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। নবজাতক ও বৃদ্ধরা বেশি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। পরিবারের সদস্যকে তাদের প্রতি যত্নবান হতে হবে।