নড়াইলে প্রথম বানিজ্যিক ভাবে তৈরী হচ্ছে ভার্মি কম্পোস্ট কেঁচো সার

নড়াইল প্রতিনিধিঃ
নড়াইল সদর উপজেলায় ১ম বারের মত বানিজ্যিক ভাবে শুরু হয়েছে কেঁচো কম্পোস্ট সার উৎপাদন। উপজেলার গোপালপুর গ্রামের দীপক বিশ্বাস এ উদ্যোগ নিয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে এ সার উৎপাদন করে দীপক বিশ্বাস এখন স্বাবলম্বী।
প্রথমে সংরক্ষণের জন্য টিনের চালায় রাখা হয় গোবর।তারপর সেই গোবর হালকা শুকিয়ে রিং বা হাউজে কয়েকদিন রাখার পরই তাতে কেঁচো দিয়ে ৩৫ থেকে ৪০ দিন রাখার পর উৎপাদিত হয় ভার্মি কম্পোস্ট সার বা কেঁচো সার।
দীপক বিশ্বাস চাষাবাদের প্রয়োজনে ২০২৪সালের মার্চ মাসে স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে শুরু করেন ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন। বাড়ির আঙ্গিনায় পরিত্যাক্ত জায়গায় ছোট পরিসরে শুরু করলে ও বর্তমানে চাহিদা থাকায় উৎপাদন করছে বানিজ্যিক ভাবে।
বাড়িতে প্যাকেটজাত করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করছেন তিনি। রাসায়নিক সার বর্জন করে তার উৎপাদিত এই জৈব সার শীতকালীন সবজি চাষে ব্যবহার করছে চাষিরা। ফলে বিষমুক্ত ও সুস্বাদু হচ্ছে সবজি।
দীপক বিশ্বাস বলেন, কৃষি অফিসের পরামর্শে আমি কেঁচো সার উৎপাদন শুরু করি। প্রথম পর্যায়ে কৃষি অফিস আমাকে বিভিন্ন ভাবে সহায়তা করেন। গোবর দিয়ে এই সার উৎপাদনে আমার তেমন কোন খরচ নেই। এই সার দিয়ে আমি আমার নিজের পুষ্টি বাগানের চাহিদা পূরন করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করছি। গ্রামের অধিকাংশ লোক এখান থেকে সার নিয়ে শীতকালীন সবজি উৎপাদন করছে।
কৃষক পলাশ শেখ বলেন, আমি ২৬ শতক জমিতে শীতকালীন সবজি চাষ করেছি এখানে কোন রাসায়নিক সার দেওয়া হয়নি।অল্প টাকায় দীপকের বাড়ি থেকে জৈব সার কিনে এনে ব্যবহার করছি।সবজির ফলন ও ভাল হয়েছে।
সিংগিয়া গ্রামের হাসিবুর ইসলাম বলেন, ফুলকপি বাধাকপি ও বস্তু পদ্ধতিতে আমি সিম চাষ করেছি। সব ধরনের ফসলে আমি এই কেঁচো সার দিয়েছি।আশা করছি ভাল ফলন হবে।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান বলেন,সবজি চাষে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে জৈব সারের প্রাধান্য দিলে উৎপাদিত সবজি হবে বিষমুক্ত অপরদিকে মাটির গুনাবলী বৃদ্ধি পাবে।তার এই সার উৎপাদন দেখে স্থানীয় অনেকেই এগিয়ে আসবে এবং তার মত স্বাবলম্বী হবে।