নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইলের কালিয়ায় উপজেলার ফুলদাহ গ্রামে মোল্যা বংশের হামলার ভয়ে ফকির
বংশের প্রায় অর্ধশত পরিবার জিম্মি। বাড়ির বাইরে ও বাজারে যেতে পারছেনা
তারা। যে কোন সময় আবারও রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের আশংখা করছেন ফকির বংশের দলের
লোকেরা। জেলা পুলিশের হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ ফকির
বংশের লোকেরা।
জানাগেছে, কালিয়া উপজেলার ফুলদাহ গ্রামের ফকির ও মোল্যা বিবাদমান দুইটি
গ্রুপ রয়েছে। ফকির গ্রুপের নেতৃত্বে দিচ্ছেন সেলিম ফকির ও মোঃ জামিরুল
ইসলাম ফকির এবং মোল্যা গ্রুপের নেতৃত্বে দিচ্ছেন ফসিয়ার মোল্যা।
গতকয়েক দিনের হামলার জন্য ফুলদাহ গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ফকির বংশের
বাড়ি ছাড়া প্রায় অর্ধশত পরিবার। হাট-বাজারে যেতে পারছেনা। ভয়ে ভয়ে দিনরাত
কাটাচ্ছেন তারা।
এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হলেও যে কোন সময় আবারও রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের
আশংখা করছেন স্থানীয়রা ও। জেলা পুলিশের হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন
এলাকাবাসী।
সেলিম ফকির বলেন,গত ১৪ জানুয়ারি ফকির গ্রুপের বিপ্লব ফকির
চাচুড়ি-পুরুলিয়া বাজারে গেলে তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পর দিন ১৫
জানুয়ারি রিংকু ফকিরকে আবারও মারে প্রতিপক্ষের লোকজন। এসময় উভয় পক্ষের
কমপক্ষে ১০-১৫ জন আহত হয়। এসময় ফকির গ্রুপের শরিফুল সরদার, তৈয়েব বেগ,
রমজান, আলামিন বেগসহ ৮-১০ টি বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে।
এসব ঘটনায় উভয় পক্ষ মামলা দায়ের করে, সকলেই বর্তমানে আদালতের জামিনে রয়েছে।
মোঃ জামিরুল ইসলাম ফকির বলেন, ২৭ জানুয়ারি আবারও আমাদের বাড়িতে হামলার
ঘটনা ঘটে। এর পর থেকে আমাদের বংশের দলের লোকজন মোল্যা বংশের হামলার ভয়ে
বাড়ি ছাড়া রয়েছে প্রায় অর্ধশত পরিবার। আমাদের পরিবারের লোকজন হাট-বাজারে,
স্কুলে যেতে পারছে না।
এসব অভিযোগ অস্বিকার করে সবুজ মোল্যা বলেন, আমাদের লোকজনদের উপর তারা
হামলা করে বাড়ি-ঘর ভাংচুর করেছে।
এ বিষয়ে কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ তাসমীম বলেন, আর কোন
অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ রয়েছে। এলাকার
আইন-শৃংখলা রক্ষার্থে দিনরাত তারা দায়িত্ব পালন করছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক :
মোঃ কামরুল ইসলাম
মোবাইল নং : ০১৭১০৭৮৫০৪০
Copyright © 2025 অপরাজেয় বাংলা. All rights reserved.