Type to search

নীল ফণা

সাহিত্য

নীল ফণা

প্রভাষক বিলাল মাহিনী
অস্পষ্ট মনে পড়ে এখনো সেই গুমোট বাতাসে কোটি মানুষের ভিড়ে নিবিড় অশ্বত্থের আঁধারে খোপার ফুল ঝরে ঝরে পড়েছিল পিঠে। সম্ভ্রম হারা বোনেরাও উড়িয়েছিলো লাল-সবুজ।
আর দেখা হয়নি, বৃষ্টির ধোঁয়ায় গুলিয়ে খেয়েছি চালে পড়া ধবধবে বরফ। চূর্ণ করেছি কত ঘুম ভাঙ্গা স্বপ্ন।
নিদারুণ ভয় হতো, কখন স্বপ্নের শাদা চাদর হঠাৎ নৌকার পাল হয়!
চা-কফির সরঞ্জাম নিয়ে দক্ষিণের ঘরে মা, কত শত বন্ধুকে করছে আপ্যায়ন। আঁচলে বাদাম ভরে গোলাপি ঠোঁটে চেপে বাদামি নিশি পার করতো বঁধু প্রিয়তমা।
নিসর্গের মিনতি শোনে না আর মন, সামনের সারিতে, স্লোগানে স্লোগানে অসীমের পানে ছুটে স্বপ্নেরা।
আজ লুণ্ঠিত জলবায়ু বন-বাদাড় সাগর মহাসাগর। উপকূলের শৈবাল থেকে খসে পড়ে অন্তর্বাস। হাটের লাগাম ছিঁড়ে গেছে বাদরের ক্ষুদে দন্ত ক্ষুরে।
মৎস-মাংসের উষ্ণতায় পুড়ে যায় গাল, সব ছাই হয়ে পড়ে রয় মরু অন্তরে।
একটা কার্টুন আঁকতে পারো কি অনাহারের? অকৃত্রিম অভিনয়ের? পারো না। তুলি শুকিয়েছে তার রঙ, হাজারো ব্যঙ্গ কার্টুন পড়ে আছে ডেস্কে, মানুষের মুখ দেখেনি আজও।
রক্তের তৃষ্ণায় বিভোর আলসেরা, ওরা অল্প বিদ্যার টোকাই! ভাড়াটে খুনি! হিংসা-দানব!! পাহাড়ের বুকে ধরায় ফাটল।
শোরগোল বাধিয়ে, মিথ্যা জিকির আর বিকৃত ইতিহাস শুনিয়ে ঘুম পাড়ায় ফেবু-গেমে ডুবে থাকা অচেতন শিশুদের।
একদিন, শব্দেরা দ্রোহ হবে
শাবল খুন্তা হবে
বাঁশের লাঠি হবে, লগি-বইঠা হবে।
অধর্ম মিথ্যা মরিচীকা পুড়ে শশ্মান হবে।
চিরায়ত মহাসত্যের বানে ভেসে যাবে কুরক্ত-পুঁজ, জারজ পুত!
সবুজের ঢেউয়ে দুলবে বাতাস
পথশিশু বঞ্চিতা ধর্ষিতারাও কথা কবে তর্জনি উঁচিয়ে…।