নি- মানের বালি ও পিলার অপসরণের নির্দেশ অভয়নগরে সড়ক নির্মাণে ভূগর্ভস্থ বালি তোলা বন্ধ করলো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা

নওয়াপাড়া অফিস
‘অভয়নগরে ডুমুরতলা বেদভিটা সড়কের কাজে অবৈধ ভাবে ভূগর্ভস্থ বালি উত্তোলন’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর সড়কের কাজে ভূগর্ভস্থ বালি তোলা বন্ধ করলো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। একই সাথে উপজেলা প্রকৌশলী ভূগর্ভ থেকে উত্তোলন করা ওই নি¤œ মানের বালি সড়কের বেড থেকে অপসারণের জন্য লিখিত নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া সড়কের অপর অংশের আর এক ঠিকাদারের নি¤œ মানের পিলার ব্যবহার করার জন্য আনা হলে তাও ফেরৎ পাঠানো হয়েছে।
গত ২৩ এপ্রিল সড়ক এর কাজে পাইপের মাধ্যমে ভূগর্ভের বালি উত্তোলন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি প্রকাশের পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নজরে আসে। তিনি ওই দিনই এসিল্যান্ডকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলেন। এসিল্যান্ড ইউনিয়ন সহকারি ভূমি কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। নির্দেশ পেয়ে রাজঘাট ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা(নায়েব) সরজমিনে যেয়ে ভূগর্ভস্থ বালি তোলা বন্ধ করে দেন। এর আগে ঠিকাদার স্বেচ্ছাচারিতা করে ভূগর্ভের ওই নি¤œমানের বালি দিয়ে সড়কের প্রায় দুই কি মি খনন করা বেড ভরাট করেছিলেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার অনেকে অভিযোগ করেন ঠিকাদার নি¤œমানের ইট, বালি ও সড়কে নি¤œমানের পিলার ব্যবহার করছে। এ সব ব্যাপারে বার বার বলা হলেও তিনি কোন কথা আমলে নেয়নি। পরে সাংবাদিকরা সচিত্র প্রতিবেদন করলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কঠোর অবস্থান নিতে শুরু করেছেন।
রাজঘাট ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা নূরনাহার আক্তার বলেন, উপজেলা সহকারি কমিশনার(এসিল্যান্ড) এর নির্দেশ পেয়ে আমি বেদভিটা গ্রামে যেয়ে ভূগর্ভস্থ বালি তোলার কাজ বন্ধ করেছি।’
উপজেলা প্রকৌশলী নাজমুল হুদা বলেন, ‘সড়কের কাজে যে বালি ব্যবহার করেছে তা নিন্ম মানের, সড়কের পশে প্লাসাইটিং এর জন্য যে খুঁটি আনা হয়েছে তা সঠিক মানের না। যে কারনে সেগুলো অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ভূগর্ভস্থ বালি তোলার কাজ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় বন্ধ করে দেন।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ওই সড়কের নির্ধারিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যশোরের মের্সাস সরদার ইন্টারন্যাশনাল এর মালিক হারুণ অর রশিদ এর মনোনিত অপর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জাহান এন্টারপ্রাইজের মালিক জাহাঙ্গীর হোসেন এর কাছে জানতে বার বার ফেন করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেনি।