অনলাইন ডেক্স:
কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীতে বিজিবি ও মাদক কারবারিদের সঙ্গে গুলি বিনিময় হয়েছে। বুধবার ভোরে এ গুলি বিনিময় হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৫ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা মূল্যের ১ লাখ ৮০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।
টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার জানান, বুধবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি যে, টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ খারাংখালী বিওপির দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-১৪ থেকে আনুমানিক ৫০০ গজ উত্তর দিকে হোয়াইক্যং খারাংখালী এলাকার পার্শ্ববর্তী নাফ নদীর সীমান্তে মাদকের একটি বড় চালান মিয়ানমার হতে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে খারাংখালী বিওপি হতে একটি বিশেষ টহলদল নাফ নদীর তীরে বেড়ীবাঁধের আড় নিয়ে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। কিছুক্ষণ পর টহলদল সন্দেহভাজন ৫/৬ জন মাদক কারবারিকে একটি কাঠের নৌকায় মিয়ানমারের মুদদ্বীপ থেকে নাফ নদী পার হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আসতে দেখেন। নৌকাটি শূন্যরেখা অতিক্রম করে বাংলাদেশ পার্শ্বে নাফ নদীর তীরে এলে বাংলাদেশের পার্শ্ব থেকে ২/৩ জন লোক বেড়ীবাঁধ দিয়ে নিচে নেমে নৌকাটির কাছে যান। তারা নৌকাটির কাছে গেলে নৌকা হতে মাদকের চালান তাদের হস্তান্তর করার সময় বিজিবির টহলদল তৎক্ষণাত তাদের চ্যালেঞ্জ করে। তখন মাদক কারবারিরা বিজিবির টহলকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি ছুড়ে। এতে অজ্ঞাতনামা মাদক কারবারিরা নৌকা হতে লাফিয়ে নাফ নদী দিয়ে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যান।
ইতোমধ্যে খারাংখালী বিওপি হতে আরও একটি টহল রিইনফোর্সমেন্ট হিসেবে পাঠানেরা হয়। যৌথ টহল দল ঘটনাস্থলে ব্যাপক তল্লাশি চালিয়ে নদীর তীর থেকে ২টি বস্তা উদ্ধার করে। ওই বস্তা থেকে ৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা মূল্যের ১লাখ ৮০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। মাদক কারবারিদের আটকের নিমিত্তে বর্ণিত এলাকা ও পার্শ্ববর্তী স্থানে পরবর্তীতে অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোনো মাদক কারবারি কিংবা তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে, মাদক কারবারিদের শনাক্ত করার জন্য ওই ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান।
তিনি আরও জানান, অবৈধ মাদকদ্রব্য বহন ও পাচারের দায়ে অজ্ঞাত দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় একটি মামলা দেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
প্রকাশক ও সম্পাদক :
মোঃ কামরুল ইসলাম
মোবাইল নং : ০১৭১০৭৮৫০৪০
Copyright © 2025 অপরাজেয় বাংলা. All rights reserved.