নড়াইলের নড়াগাতী থানার জয়নগর ইউনিয়নের রামপুরা গ্রামে বাবা ও ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার (১২ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে পুঠিমারী গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। এরা হলেন-রামপুরা গ্রামের লাভলু খান লাবু (৪৭) ও তার ছেলে রাব্বি খান (২১)। ওইদিন বিকেলে লাবু তার আপন ভাই বাবলু খান (৬০) এবং ভাতিজা সাজ্জাদুল আলম খান বাপ্পীকে (৪২) কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন। এ সময় লাবুর ছেলে রাব্বিও তাদের ওপর হামলা করে। এ ঘটনার প্রায় পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার হলেন অভিযুক্ত লাবু ও তার ছেলে রাব্বি।
নড়াগাতী থানার ওসি আশিকুর রহমানসহ অভিযানে থাকা পুলিশ সদস্যরা তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে বাঁশের হাতলযুক্ত দুইটি লোহার সড়কি এবং কাঠের হাতলযুক্ত একটি ধারালো হাসুয়া উদ্ধার করেছে পুলিশ। অভিযোগ রয়েছে, এই সড়কি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে ভাই এবং ভাতিজাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে লাবু ও তার ছেলে।
আহত বাবলু ও তার ছেলে বাপ্পীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, রোববার বিকেলে নড়াইলের নড়াগাতী থানার রামপুরা গ্রামের বাবলু খান বাড়িতে পারিবারিক কলহে তার স্ত্রী আঞ্জুমান বেগম পপিকে মারধর করতে গেলে আত্মরক্ষার্থে তিনি (পপি) দৌড়ে দেবর লাবুর উঠানে যান। এখানে এসে বাবলু তার স্ত্রী পপিকে মারধর করতে গেলে ছোট ভাই লাবু মারধর করতে নিষেধ করেন।
একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও বাদানুবাদ শুরু হয়। এ সময় বাবলু খানের ছেলে বাপ্পি তালের ডাশা দিয়ে তার চাচা লাবুকে আঘাত করেন। এ সময় লাবু ঘর থেকে ধারালো অস্ত্র হাসুয়া নিয়ে বড় ভাই বাবলুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। এরপর সড়কি দিয়ে লাবু ভাতিজা বাপ্পিকে বুকে কোপ দিয়ে রক্তাক্ত করে। এ সময় লাবুর ছেলে রাব্বিও বাপ্পিকে সড়কি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাবলু তার ছেলে বাপ্পিকে প্রথমে গোপাললঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে রোববার রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নড়াগাতী থানার ওসি আশিকুর রহমান জানান, বাবলু খান ও তার ছেলে বাপ্পি গুরুতর জখম হওয়ার পর পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম স্যারের নির্দেশনায় দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক :
মোঃ কামরুল ইসলাম
মোবাইল নং : ০১৭১০৭৮৫০৪০
Copyright © 2025 অপরাজেয় বাংলা. All rights reserved.