
নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইল সদর উপজেলার মাইজপাড়া ইউনিয়নের মাগুরা গ্রামের বাসিন্দা আশরাফুজ্জামান টিটো বানিজ্যিকভাবে বিদেশি অ্যাভোকাডো ফলের চাষ করছেন। ২০১৪ সালে শখের বসে তার নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় প্রাথমিকভাবে আফ্রিকা থেকে ৫ টি বীজ এনে রোপণ করেন। ফলন ভালো ও দাম বেশি হওয়ায় তিনি ৪০ শতক জমিতে গড়ে তুলেছেন অ্যাভোকাডো বাগান। বর্তমানে তার বাগানে ২৯ টি ফল গাছ রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়,বাগানটিতে পাতা বাহারি গাছের মত ২৯ টি অ্যাভোকাডো গাছ সবুজ পাতার সৌন্দর্য ছড়িয়ে বাতাসে দুলছে। গাছের ডালে সবুজ পাতার আড়ালে ঝুলছে ফল।
আশরাফুজ্জামান টিটোর জানান, সেনাবাহিনীতে চাকরি করার সুবাধে তিনি আফ্রিকায় মিশনে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ৫ টি বীজ এনে তিনি নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় রোপণ করেন। ফলন ভালো ও দাম বেশি তাই তিনি বর্তমান ৪০শতক জমিতে গড়ে তুলেছেন অ্যাভোকাডো ফলের বাগান। বর্তমানে তার বাগানে ২৯ টি ফল গাছ রয়েছে। দেখতে অনেকটা নাশপাতি ও পেয়ারা আকৃতির মত। তবে দেখতে পেয়ারার আকৃতির হলেও এটি বিদেশি অ্যাভোকাডো ফল। ফলটির ওজন ৩ থেকে ৪ শ’ গ্রামের হয়ে থাকে। ফলের ভিতরে ডিম আকৃতির বীজ রয়েছে। মিষ্টতা কম, খেতে মাখমের মত নরম। উপকারী এ ফল এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বাজারে এ ফলের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। কাঁচা অথবা পাকা-ভর্তা, সালাত, জুস ও শরবত করে খাওয়া যায় ফলটি। প্রতি বছর তিনি ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকার ফল বিক্রি এবং চারা তৈরি করেও বিক্রি করে থাকেন। ফলের দাম ১ হাজার থেকে ১২ শ’ টাকা কেজি এবং পাইকারি ৪ থেকে ৫ শ’ টাকা বিক্রি করেন আশরাফুজ্জামান টিটো। এখন তিনি বাণিজ্যিক ভাবে চাষ করছেন।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান বলেন, অ্যাভোকাডো ফলের চাষ করতে হলে প্রথমে চারা সংগ্রহ করতে হবে। দেড় ফিট বাই দেড় ফিট গর্ত করে কম পক্ষে সাত দিন রেখে দিতে হবে। তার ভিতর জৈব সার, হাঁড়ের গুড়া, গোবরের সার দিয়ে রেখে দিতে হবে। এক সপ্তাহ পর চারা রোপণের আগে ছত্রাক নাশক ঔষধ ছিটিয়ে চারা রোপণ করতে হবে। ৩ থেকে ৪ বছর পর গাছে ফল আসবে। কৃষি অফিস থেকে উদোক্তাদের সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। আশা করি এ ফল চাষ জেলায় দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্প্রসারিত হবে।