নওয়াপাড়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে রেলওয়ের ২১টি অবৈধ লেবেল ক্রসিং বন্ধ করা হলো
ষ্টাফ রিপোর্টার: শিল্প বাণিজ্য বন্দর নগরী নওয়াপাড়ায় রেলওয়ের ২১টি অবৈধ লেবেল ক্রসিং বন্ধ করা হয়েছে।
ভয়াবহ ট্রেন ও প্রাইভেট কার সংঘর্ষে চার জন নিহতের ঘটনার পর ওই সব ক্রসিং বন্ধ করা শুরু হয় । বুধবার পর্যন্ত ২১ টি লেবেল ক্রসিং বন্ধ করা হয়েছে । দুর্ঘটনার পরপরই বন্ধ করা হয়েছিলো ভৈরব সেতুর ক্রসিং। গুরুত্বের বিষয়টি বিবেচনা করে শর্ত সাপেক্ষে দ্রুত খুলে দেয়া হতে পারে ভৈরব সেতুর লেবেল ক্রসিং।
লেবেল ক্রসিং বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মারাত্মক সমস্যায় পড়েছে আমদানীকারক সহ সকল শ্রেণির ব্যবসায়ীরা। এ দিকে ভৈরব সেতুর ক্রসিং বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে অভয়নগর থেকে নড়াইল জেলার সংযোগ।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, নওয়াপাড়া নৌ বন্দরে দেশ ও বিদেশ থেকে আমদানী হওয়া সকল ধরনের মালামাল পরিবহনের জন্য রেল লাইন পার হয়ে নদীর তীরে গড়ে উঠা গুদামে ও খোলা আকাশের তলে ড্যামপিং করা হয়। নওয়াপাড়া সার, সিমেন্ট, কয়লা খাদ্যশস্য আমদানীকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহ জালাল হোসেন বলেন, রেলের লেবেল ক্রসিং বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা ব্যবসা নিয়ে মারাত্মক সমস্যায় পড়েছি। ভৈরব নদের তীর ঘেষে গড়ে উঠেছে শত শত গুদাম। ওইসব গুদামে রয়েছে বিদেশ থেকে আমদানী করা সার, সিমেন্ট, গম, ভুট্টা, কয়লা সহ নানা ধরনের পন্য। রেলের লেবেল ক্রসিং বন্ধ করায় গুদামের কোন মালা মাল বের করা যাচ্ছে না। এতে করে বাজারে মালের সংকট দেখা দেবে এবং বাজারে দাম বেড়ে যাবে। তিনি দ্রুত লেবেল ক্রসিং খুলে দেওয়ার আহবান করেছেন।
রেলওয়ের যশোর অঞ্চলের সহকারি নির্বাহী প্রকৌশলী অলিউল হক জানান, নওয়াপাড়ার ব্যবসায়ীরা তাদের ঘাট গোডাউনে মালবাহি যানবাহন চলাচলের জন্য রেলওয়ের উপর দিয়ে অবৈধ ভাবে লেবেল ক্রসিং নির্মাণ করেছে। ওই সব ক্রসিংয়ে ইতোমধ্যে ট্রাক ট্রেসের সাথে সংঘর্ষে অনেক জান মালের ক্ষতি হয়েছে। উপরি মহলের নির্দেশে লেবেল ক্রসিং বন্ধ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ভৈরব সেতুর ক্রসিং বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নড়াইলের সাথে অভয়নগর উপজেলার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। ইতো মধ্যে ওই ক্রসিংটি খুলে দেওয়ার জন্য এলজিইডি কর্মকর্তার সাথে রেলওয়ের কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে।
রেলের ওই কর্মকর্তা আরো জানান, সর্বশেষ বৈঠকে সিন্ধান্ত হয়েছে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ রেলের শর্ত মানতে রাজি হয়েছে। শর্তের মধ্যে রয়েছে রেলের স্থায়ী গেটম্যান নিয়োগ দেওয়ার আগ পর্যন্ত অন্তর্বর্তী কালিন সময়ে একজন গেটম্যানের বেতন এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে। জানা গেছে,এলজিইডি ওই গেটম্যানের খরচ দিতে রাজি হয়েছেন। এদিকে লেবেল ক্রসিং বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঘাট গোডাউনে মালামাল উঠা নামা অনেকটা বন্ধ হয়ে গেছে। এতে সার, সিমেন্ট কয়লার ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছে। তারা ইতো মধ্যে রেলের বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে রেলের কর্মকর্তারা উপযুক্ত অর্থ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে জমা করতে বলেছেন। উক্ত জামানাতের টাকায় গেটম্যান নিয়োগ দেয়া হবে। এর পর লেবেল ক্রসিং খুলে দেওয়া হবে।