নওয়াপাড়ায় ভৈরব নদ কচুরিপানায় পূর্ণ; জাহাজ চলছে ঝুঁকিতে

স্টাফ রিপোর্টার
ভৈরব নদের নওয়াপাড়া নৌবন্দর এলাকায় কয়েকদিন যাবৎ ব্যাপক হারে কচুরিপানার আগমণ ঘটেছে। কচুরিপানার ধাপ ভাটার টানে খুলনা অভিমুখে যাচ্ছে আবার জোয়ারে ফিরে আসছে এতে সকল প্রাকার যানবাহন চলাচলে বিঘœ ঘটছে। মজুতখাল থেকে আফরা পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে এ কচুরিপানা ঘুরে ফিরছে।
,এম ভি রিয়াজ উদ্দিন-৩ জাহাজের মাষ্টার বাকি বিল্লাহ জানান, তিনি ২৭ বছর যাবৎ জাহাজে কাজ করছেন কিন্তু এত কচুরিপানা কোন নদীতে দেখেনি। কয়েকদিন আগে তিনি সিমেন্ট নিয়ে ঢাকা থেকে নওয়াপাড়া নৌ বন্দরে এসেছেন। তার জাহাজ মজুদখাল থেকে নওয়াপাড়া আসতে অতিরিক্ত ৩ ঘন্টা সময় বেশি লেগেছে। কচুরিপানার জন্য সময় ও অর্থের অপচয় হয়েছে। কচুরিপানা না সরলে খালি জাহাজ চালানো তার পক্ষে কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
একই রকম অভিযোগ করলেন বাগেরহাট জেলার হারবাড়িয়া থেকে ডিএপি সার নিয়ে ছেড়ে আসা এমভি শাহাজাদী জাহান-১ এর লস্কর জসীম উদ্দিন ও এমভি আল মোয়াজ -৪ এর মাষ্টার নূরুল হুদা খোকন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার মজুদখালী থেকে যশোর সদরের আফরা পর্যন্ত নওয়াপাড়া নৌবন্দর এলাকার সব জায়গায় কচুরিপানায় ভরে গেছে। এসব এলাকার নদী পারাপারের খেয়া চলাচলে মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। পারাপারের জন্য সাধারন্ত ৫ মিনিট সময় লাগে কিন্তু কচুরিপানা থাকার জন্য নৌকা আটকে ৩০ মিনিট সময় বেশি লাগছে। বর্তমানে নৌবন্দরে প্রায় তিন শত জাহাজ নোঙ্গর করা আছে। জাহাজ থেকে মাল আনলোড করার পর ফিরে যেতে হয়। কিন্তু খালি জাহাজ কচুরিপানার মধ্যে দিয়ে চালানো প্রায় অসম্ভাব। তাই তারা অপেক্ষা করছে কচুরিপানা অপসারণের। কচুরিপনা গুলো যশোর এলাকা থেকে আসছে আর তা খুলনার মজুতখালী যেয়ে আতাই খাল দিয়ে মধুমতি নদীতে ঢুকছে । সেখান থেকে আবার নওয়াপাড়া এলাকায় ফিরে আসছে। অভিজ্ঞ নৌযান চালকেরা জানান নদীতে লবন পানি না আসা পর্যন্ত কচুরিপানা নির্মুল হবে না। এ জন্য অপেক্ষা করতে হবে মধ্য ডিসেম্বর পর্যন্ত।
নওয়াপাড়া নৌ বন্দরের পরিচালক মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘নদীতে প্রচুর পরিমানে কচুরিপানা আসছে। এটা বরিশাল এলাকা থেকে এসেছে। এতে নৌযান চলাচলে মারাত্মক বিঘœ ঘটছে। এটা নির্মুল করার কোন ব্যবস্থা আমাদের কাছে নেই।’
শেখ আতিয়ার রহমান
৪/১০/২২