প্রিয়ব্রত ধর:
নওয়াপাড়ায় ভৈরব নদে ডুবে যাওয়া সাবির বাাঁধন কার্গো জাহাজটি ৫০ দিন পর আজ বুধবার ডাঙ্গায় উঠানো হবে।জাহাজের মাষ্টার সজিব হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে মালিকানাধীন একটি উদ্ধার জাহাজ দীর্ঘ ১০/১২ দিন যাবৎ উদ্ধার তৎপরতা চলিয়ে যাচ্ছে। উদ্ধার কাজ শেষের পথে আগামী কাল (আজ) বুধবার জাহাজটি ডাঙ্গায় উঠনো হবে। এ কাজে মালিকের ২৯ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে। নানা জটিলতায় জাহাজটি উদ্ধার করেতে বিলম্ব হলো।’
তিনি আরো জানান, গত ৩ ফেব্রæয়ারি ৬৪০ টন ইউরিয়া সার নিয়ে সাবির বাাঁধন নওয়াপাড়া পীরবাড়ি ঘাটে ডুবে যায়। নিয়ম মোতাবেক মালিক পক্ষ ওই জাহাজ উদ্ধার করবে। প্রথমে ড্রাম পদ্ধতিতে জাহাজটি উদ্ধারের চেষ্টা করা হয়। কয়েক দিন চেষ্টার পর তা ব্যার্থ হওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মালিকাধীন একটি উদ্ধার জাহাজ ভাড়া করে আনা হয়। গত ১২ মার্চ তারিখ থেকে সাবির বাঁধনকে নদী থেকে তোলার জন্য উদ্ধার জাহাজটি তৎপরতা চালাচ্ছে। জাহাজটি দীর্ঘদিন ডুবে থাকায় ৫/৬ ফুট পলি জমে মাটির তলে আটকা পড়েছে। এতে উদ্ধার কাজ করতে অনেক সমস্যা হয়।
অপর দিকে সাবির বাাঁধন ডুবে যাওয়ার এক মাস পর আফিল গ্রæপের ১ হাজার ১৬০ টন কয়লা নিয়ে এম ভি সুরাইয়া নামে আরো একটি জাহাজ অভয়নগর উপজেলার ভাটপাড়া এলাকায় ডুবে যায় । জাহাজ থেকে কয়লা উদ্ধার কারা হয়েছে। কিন্তু জাহাজ উদ্ধারের জন্য কোন তৎপরতা নেওয়া হয়নি। জাহাজের মাষ্টার সোহাগ হোসেন জানান, কয়লা উদ্ধার হয়েছে কিন্তু জাহাজ মালিক এখনো জাহাজ উদ্ধারের কাজ শুরু করননি। উল্ট তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, সে ইচ্ছা করে জাহাজ ডুবিয়ে দিয়েছে। তিনি আরো জানান, জাহাজটির ফিটনেস ৩০ বছর আগে শেষ হয়েছে। বিআইডবøুটিএর অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজসে খুলনার মংলা এলাকার টাইগার জলিল লিজ নিয়ে ওই জাহাজে মালামাল আনা নেওয়ার কাজ করেন।
নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের খুলনা শাখার যুগ্ম পরিচালক আশরাফ হোসেন বলেন, ‘জাহাজ ডুবে যাওয়ার পর আমরা ১৫ দিনের সময় বেঁধে দিয়ে উদ্ধার কার্যক্রম শেষ করতে মালিক পক্ষকে নির্দেশ দিয়েছি। সাবির বাঁধন উদ্ধার হওয়ার শেষ পর্যায়ে কিন্তু এম ভি সুরাইয়া উদ্ধারের তৎপরতা এখনো শুরু হয়নি। তিনি আরো বলেন, এভাবে দীর্ঘদিন নদীতে জাহাজ ডুবে থাকলে পলি জমে নদীর তলদেশ উঁচু হয় এবং নৌ চলাচলে বাঁধার সৃষ্টি হয়।’
প্রকাশক ও সম্পাদক :
মোঃ কামরুল ইসলাম
মোবাইল নং : ০১৭১০৭৮৫০৪০
Copyright © 2025 অপরাজেয় বাংলা. All rights reserved.