রবিবার বিকাল ৩টায়, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে বসবে এই সভা। চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এতে উপস্থিত থাকবেন। তাদের উপস্থিতিতে বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিদের জাতীয় পরিচয়পত্র সেবার ফি নির্ধারণসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

আগামী ২৮শে ডিসেম্বর দেশব্যাপী পৌরসভা নির্বাচন শুরু হচ্ছে। প্রথম ধাপের ২৫ পৌরসভা নির্বাচন হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। দ্বিতীয় ধাপে কতটি পৌরসভায় ভোট হবে তা আজ ইসির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হলে আজ এ ধাপের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।

ফেব্রুয়ারির মধ্যে মেয়াদ শেষ হবে ১৮৫ পৌরসভার। এর মধ্যে ১ ও ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মেয়াদ শেষ হবে ৪টি, ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মেয়াদ শেষ হবে ৪৬টি এবং ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মেয়াদ শেষ হবে ১৩৩ পৌরসভায়। মার্চে শেষ হবে ২৮ পৌরসভার মেয়াদ। এপ্রিল থেকে নভেম্বরে শেষ হবে ৩০টির মেয়াদ। ইসি সিদ্ধান্ত নেবে দ্বিতীয় ধাপে কতটি পৌরসভায় ভোট হবে। তবে ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ৫০ পৌরসভার মেয়াদ শেষ হবে, ওইসব পৌরসভায় দ্বিতীয় ধাপে ভোট হতে পারে। স্থানীয় সরকার আইন সংশোধনের পর ২০১৫ সালে প্রথম দলীয় প্রতীকে ভোট হয় পৌরসভায়। ওই সময় এক দিনে ভোট হয় ২৩৪টি পৌরসভায়।

জানা গেছে, পৌরসভার দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন ৩ থেকে ৭ জানুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠানের জন্য ইসির কাছে আজ নথি উপস্থাপন করবে সচিবালয়। আজ কমিশন বৈঠক থেকে অনুমোদন দিলেই এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন করতে হলে আজ-কালের মধ্যে এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে। বর্তমানে প্রায় ২৫০ পৌরসভায় মামলা বা নির্বাচন করতে কোনো জটিলতা নেই। ধাপে ধাপে এসব পৌরসভায় নির্বাচন হবে।

ইসি সূত্র জানিয়েছে, বতর্মানে দেশে পৌরসভার সংখ্যা ৩২৯টি। নির্বাচন উপযোগী পৌরসভার সংখ্যা ২৫৯টি। এরমধ্যে ৫ পৌরসভায় নির্বাচন ১০ ডিসেম্বর এবং ২৫ পৌরসভায় ভোট হবে ২৮ ডিসেম্বর।

সূত্র, DBC বাংলা