প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ৪, ২০২৫, ৪:৩৬ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ মে ৪, ২০২২, ৪:১১ পি.এম
তেলের জন্য হা হা কার

ডেক্স রিপোর্ট :রাজধানীর কলাবাগান এলাকার বাসিন্দা শাহনাজ পারভীন। ঈদের দিন রোস্ট রান্না করতে গিয়ে দেখেন ঘরে তেল নেই। বাধ্য হয়ে একই ভবনের প্রতিবেশীর কাছ থেকে ধার করলেন সামান্য কিছু তেল। প্রতিবেশীর ঘরেও ছিল তেলের স্বল্পতা। তাই ইচ্ছা থাকলেও বেশি তেল দিতে পারেননি শাহনাজ পারভীনকে। সামান্য যেটুকু তেল ছিল, তা ভাগাভাগি করতে গিয়ে হাত ফসকে কিছু তেল ফ্লোরে পড়ে যায়। তাতেই শাহনাজ পারভীন ও তাঁর প্রতিবেশীর হাহাকার। একে অপরের মুখের দিকে অপলক চেয়ে ছিলেন। কারণ, তেলের এ আকালে কয়েক ফোঁটা তেলও যে মহামূল্যবান দুজনের কাছেই। এ ঘটনা ঈদের আগের দিনের।তেল না পেয়ে ঈদের আগের দিন আর রোস্ট রান্না করা হলো না শাহনাজ পারভীনের। সেই দুঃখের কথাই তিনি জানালেন তাঁর প্রতিবেশীকে।
তেল না পেয়ে ওই দিন আর রোস্ট রান্না করা হলো না শাহনাজ পারভীনের। সেই দুঃখের কথায় তিনি জানালেন তাঁর প্রতিবেশীকে। সেই দুঃখ ঘোচানোর চেষ্টা করেও সফল হলেন না শাহনাজ পারভীনের ওই প্রতিবেশী। এ তো গেল কলাবাগানের বাসিন্দা শাহনাজ পারভীনের ঈদের দিনের দুঃখগাথা।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাজারসদাই করতে আসা দীপু হোসাইনের মুখটা আরও মলিন। বাজারে তেলের সংকট তাঁকে ফেলেছে মহাসংকটে। রাজধানীর কেরানীগঞ্জের বেলনা ইকো রিসোর্ট থেকে তিনি কারওয়ান বাজার এসেছেন রিসোর্টের জন্য সদাই কিনতে। দীপু হোসাইনের সদাইয়ের তালিকায় ‘তেল’-ই মুখ্য। ঈদের ছুটিতে রিসোর্টভর্তি অতিথি। অতিথি মানেই খাওয়াদাওয়া। আর বাঙালির উনুনে রান্না চড়ানো মানেই তেল। কিন্তু সেই তেল নিয়ে বাজারে চলছে তেলেসমাতি। পাড়া-মহল্লার ছোট ছোট দোকান থেকে শুরু করে পাইকারি বাজার— সর্বত্রই এখন তেলের জন্য হাহাকার।
প্রকাশক ও সম্পাদক :
মোঃ কামরুল ইসলাম
মোবাইল নং : ০১৭১০৭৮৫০৪০
Copyright © 2025 অপরাজেয় বাংলা. All rights reserved.