ঝিকরগাছায় জোরপূর্বক শরীকের জমি ভাগ করে নিয়ে চলাচলের রাস্তা বন্ধ : ইউএনও’র নিকট অভিযোগ

আফজাল হোসেন চাঁদ, ঝিকরগাছা : যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার ৪নং গদখালী ইউনিয়নের জোরপূর্বক শরীকের জমি ভাগ করে নিয়ে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করায় ১১পরিরার মিলে এক পরিবারের নামে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে বাদিরা হলেন, বারবাকপুর (শেখপাড়া) গ্রামের শেখ রায়হানের ছেলে শেখ মেহেদি হাসান, মৃত রুহুল আমিনের ছেলে শেখ মমিন, রাহেল, মৃত আহমেদ আলীর ছেলে আশরাফ আলী, শেখ আরজান আলী, শেখ আনিছ, মোঃ হামিম আলী, মৃত আহাদুজ্জামানের ছেলে শিস আব্দুল্লাহ, মৃত সেকেন্দার আলীর ছেলে আলি এমরান, শেখ আরজান আলীর ছেলে শেখ চয়ন, আলি এমরানের ছেলে মনজুরুল হাসান। বিবাদী হয়েছেন, একই গ্রামের মৃত বাবর আলীর ছেলে মোঃ সহিদুজ্জামান।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিবাদী ও বাদিরা একে অন্যের শরীক বা চাচাতো ভাই ও চাচা। উপজেলাধীন ৩৩নং বারবাকপুর মৌজায় ২৭৪ খতিয়ানের ৫৫ দাগে মোট ৪ শরীকের ১০ শতক জমি ও জমির পার্শ্বদিয়ে সরকারি রাস্তা রয়েছে। এমতাবস্থায় উক্ত রাস্তা আমাদের উভয় পরিবারের দরকার। কিন্তু বিবাদী জমি লম্বা লম্বা ভাবে ভাগ বন্টন না করে গায়ের জোর খাটিয়ে নিজের ইচ্ছামত সরকারী রাস্তা সংলগ্ন জমি আড়াআড়ি ভাবে ভাগ বন্টন করে, বাদিদের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে পাকা ঘর নির্মাণ ও বেড়া দিয়ে বাদিদের ১১টি পরিবারের সকলের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। বর্তমানে বাদিরা চলাচলের জন্য অন্য কোন রাস্তা বা পথ নাই। বাদিদের অন্যের ফসলী আবাদের জমি ও বাগানের জমির ভিতর দিয়ে চলাচল করতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। যার কারণে বাদিরা মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। বিবাদীর ঘর নির্মাণ করার সময় বাদিরা অনেক বার নিষেধ করলেও বাদিদের কোন কথায় বিবাদী কর্ণপাত করেনি। বরং বিভিন্ন সময় বাদিদের উপর চড়াহ হয়ে ক্ষমতার জোরে দেখিয়ে বাদিদেরকে মারধর ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে উদিৎ হয়। বিষয়টির উপর তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অভিযোগে দাবী জানিয়েছেন।
ঘটনার বিষয়ে সোমবার (০৫ মে) সকাল ১১টার সময় তথ্য অনুসন্ধানে বিবাদী মোঃ সহিদুজ্জামানের স্ত্রী মিনু বেগম বলেন, আমাদের দলিলে তো লেখা নেই রাস্তা দেবো। আমাদের চার শরীকে মোট জমি ১০শতক। একজনের ভাগের জমি আমরা কিনে নিছি। এখন আমাদের মোট ৫শতক। মোট জমির মধ্যে কোন রাস্তা ছিলো না। মোট জমির মধ্যে কোন সাইট উল্লেখ ছিলো কি না ? এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমাদের জমির কোন সাইট উল্লেখ ছিলো না। ওরা রাস্তার দাবী করছে আমরা রাস্তা দেবো না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভুপালী সরকার বলেন, ঘটনার বিষয়ে আমার অফিসে একটি লিখিত লিখিত অভিযোগ এসেছে। আমার দপ্তর হতে ওসি সাহেব বরাবর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।
থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বাবলুর রহমান খান বলেন, ইউএনও অফিস থেকে আমার দপ্তরে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।