ঝিকরগাছার গ্রামবাসীর পক্ষে শিমুলিয়া ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের সংবাদ সম্মেলন
Admin
May 26, 2025
আফজাল হোসেন চাঁদ, ঝিকরগাছা : যশোরের ঝিকরগাছার গ্রামবাসীর পক্ষে শিমুলিয়া ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বেলা ১২টার সময় ঝিকরগাছা প্রেসক্লাবে সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শিমুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহাজান আলী। তিনি সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমরা এই মর্মে অদ্যকার সংবাদ সম্মেলনে আপনাদের মাধ্যমে লিখিত ভাবে অভিযোগের প্রশাসনের যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে চাই যে, অতিসাম্প্রতিক সময়ে একটি অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টালে রাজাপুর বাওড়ের খাস জমি ঘিরে আদালতকে জড়িয়ে মিথ্যা, অসত্য ও বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যা সম্পূর্ণ অসত্য, মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক। আমরা এহেন মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আপনাদের সদয় অবগতির জন্য জানাতে চাই যে, ঝিকরগাছার শিমুলিয়া ইউনিয়নের ১৭ নং উত্তর রাজাপুর মৌজাধীন খাস ১নং খতিয়ানভুক্ত ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত রাজাপুর বাওড়ের ১৮ একর জলমহাল যা সরকারের সায়রাতভুক্ত বন্ধ জলাশয় শ্রেণি। উল্লেখিত বাওড়টি সরকার কর্তৃক প্রতি ইজারা বাংলা সন মোতাবেক বিধি অনুযায়ী ইজারা প্রদান করে আসছে। কিন্তু, অতি পরিতাপ ও উদ্বেগের বিষয় এই যে, সোহারব হোসেন বিশ্বাস পিতাঃ মৃত আব্দুল আজিজ বিশ্বাস গং, সাং- উত্তর রাজাপুর কর্তৃক উক্ত সায়রাত জলমহালের ১৮ একরের মধ্যে প্রায় ৭ একর সম্পত্তির সরকারী স্বার্থের তথ্য গোপন করে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে ভুয়া, বানোয়াট, তঞ্চকিপূর্ণ ও জালজালিয়াতি মূলক সৃষ্ট দলিল, কাগজপত্রাদির মাধ্যমে যশোরের বিজ্ঞ দেওয়ানী সহকারী জজ নিম্ন আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। অতঃপর একতরফা রায়ডিক্রি ও আদেশপ্রাপ্ত হয়। বিষয়টি আমরা অত্রএলাকাধীন সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ এই ঘটনায় হতবাক ও মর্মাহত। সরকারি স্বার্থরক্ষার পাশাপাশি আমরা সর্বস্তরের এলাকাবাসীর এর যথাযথ আইনি প্রতিকার দাবি করছি। ঘটনাটি জানাজানির পর উন্মুক্ত ও সরকারি খাস শ্রেণিভুক্ত হওয়ায় সর্বস্তরের এলাকাবাসীর বৃহত্তর স্বার্থের পাশাপাশির সরকারি স্বার্থ রক্ষায় আমরা বিষয়টি লিখিত/মৌখিকভাবে স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করি। অতঃপর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের নির্দেশে সহকারী কমিশনার (ভূমি) উল্লেখিত সম্পত্তির সরকারি স্বার্থ রক্ষা ও উদ্ধারে বিজ্ঞ আদালতে আপিল মামলা দায়ের করা হয়েছে যা বিচারাধীন।
আজমপুর মৌজাধীন সরকারি খাস ১নং খতিয়ানভুক্ত ১২ একর ৬৭ শতক আজমপুর বাওড় জলমহালটির মাধ্যমে অত্র এলাকার আজমপুর, পাল্লা, বোধখানা, জাফরনগর, মধুখালী, ফতেপুর, কামারপাড়া ও শিমুলিয়া অত্র গ্রামগুলির পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ। উক্ত জলমহালটির আনুমানিক ৬ একর জায়গার উপর অত্র এলাকার প্রভাবশালী ভূমিদৈস্যু ইব্রাহিম বিশ্বাস, পিতা- মৃত মকছেদ বিশ্বাস, আব্দুল জলিল, পিতা- মৃত শাহাদত, নূর ইসলাম, পিতা- মৃত তালুক সরদার, ইউনুস দফাদার, পিতা- মৃত শাহাদত দফাদার, বাপ্পি, পিতা- মৃত সালাম মোড়ল, সিরাজ, পিতা- মৃত আয়নাল মোড়ল সর্বসং- আজমপুর ও লেয়াকত আলী, পিতা- অজ্ঞত, গ্রাম- বোধখানা। উপরে উল্লেখিত ব্যক্তিগত জলমহালটির ৬ একর জায়গা দখল করে পুকুর খনন করে পানি চলাচলের পথ বন্ধ করে রেখেছে। এবং আমরা জানতে পেরেছি যে, সরকারি খাস ১নং খতিয়ানভুক্ত জায়গার উপর তথ্য গোপন করে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে ভুয়া, বানোয়াট, তঞ্চকিপূর্ণ ও জালজালিয়াতি মূলক সৃষ্ট দলিল, কাগজপত্রাদির মাধ্যমে যশোরের বিজ্ঞ দেওয়ানী সহকারী জজ নিম্ন আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আমরা ঝিকরগাছা উপজেলার নির্বাহী অফিসারের নিকট এই সরকারি সম্পত্তি উদ্ধারে বিজ্ঞ আদালতে আপিল দায়ের করার জন্য ও সরকারি সম্পত্তি উদ্ধারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি।
আমরা আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, শিমুলিয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত পাল্লা বাজারের ১নং সরকারি খতিয়ান ভুক্ত ১ একর ৭০ শতক জমির মধ্যে ১০ শতক জমি অতিগ্রহণপূর্বক একটি ভূমি অফিস নির্মাণের সরকারি বরাদ্ধ প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু বাজারটিতে সরকারি সম্পত্তির উপর পাল্লা গ্রামের প্রভাবশালি ভূমিদস্যু আব্দুল হামিদ পিতা- মৃত মোজাহার ও তার শীর্ষ ক্যাডার আব্দুল মাজিদ পিতা- ওয়িয়ার রহমান সর্বসাং- পাল্লা। পাল্লা বাজারের সরকারি সম্পত্তি দখলপূর্বক দুই তলা মার্কেট নির্মাণ করেছেন। আমরা অত্র এলাকাবাসী সাংবাদিক ভাইদেএকরর মাধ্যমে ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আমাদের আকুল আবেদন উক্ত বাজারের সরকারি খতিয়ানভুক্ত ১ ৭০ শতক জমির উপর সকল অবৈধ্য স্থাপনা উচ্ছেদপূর্বক বাজার পেরিফেরি করে সরকারি বিধি মোতাবেক প্রকৃত ব্যবসায়িদের মধ্যে দোকান বরাদ্ধ প্রদানের দাবী করেছেন। এ বিষয়ে সংবাদকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন শিমুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আশারাফুজ্জামান আশা। এছাড়াও উক্ত সময় উপস্থিত ছিলেন, রাজাপুর গ্রামের মহিদুল ইসলাম, আনিছুর রহমান, ওয়াছেল, আনারুল, আঃ বারিক, তরিকুল ইসলাম, আজগর আলী, আঃ কাইউম, আইয়ুব হোসেন, ফজলুল হক, আতিয়ার রহমান, ইসমাইল, আব্বাস আলী, আজমপুর গ্রামের হাফিজুর রহমান, মনজুরুল ইসলাম, টিপু সুলতান, নুর আলম রাজু, রাসেল, মেহেদী, পাল্লা গ্রামের মিজানুর রহমান, আলম, মাসুদ পারভেজ, শিয়ালঘোনা গ্রামের আব্দুল অহেদ, খাসখালী খাইরুল ইসলাম, মধুখালী গ্রামের শরাফত আলী সহ উপস্থিত ছিলেন, মনজুরুল ইসলাম, আলতাপ হোসেন, ফারুক হোসেন , তরিকুল ইসলাম, ইসরাফিল হোসেন, মফিদুর রহমান, মস্তফা, রসুল, আনিছুর বিশ্বাসসহ আরও অনেকে।
এবিষয়ে সোহারব হোসেন বিশ্বাসের ছেলে শহিদুল ইসলাম পল্লবের নিকট ঘটনার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, বিজ্ঞ আদালতের রায়, ডিক্রী ও নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে মিথ্যাচার ও অবৈধ ক্ষমতা প্রয়োগ করা আদালত অবমননার সামিল। এ বিষয়ে কে বা কারা সংবাদ সম্মেলন করলো এটা আমাদের কোন জানা-বোঝার কিছু নেই। তবে যারা এই সংবাদ সম্মেলন করছে তাহারা কি আমার পরিবারের ক্ষয়ক্ষতি সাথে সংযুক্ত কি না এটাও প্রশাসনের নিকট আমি তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। আমরা বিজ্ঞ আদালত ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আদালতের ন্যায় বিচারের প্রতি আমরা বিশ্বাসী।
আজমপুর মৌজাধীন সরকারি খাস ১নং খতিয়ানভুক্ত ১২ একর ৬৭ শতক আজমপুর বাওড় জলমহালটির মাধ্যমে অত্র এলাকার আজমপুর, পাল্লা, বোধখানা, জাফরনগর, মধুখালী, ফতেপুর, কামারপাড়া ও শিমুলিয়া অত্র গ্রামগুলির পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ। উক্ত জলমহালটির আনুমানিক ৬ একর জায়গার উপর অত্র এলাকার প্রভাবশালী ভূমিদৈস্যু ইব্রাহিম বিশ্বাস, পিতা- মৃত মকছেদ বিশ্বাস, আব্দুল জলিল, পিতা- মৃত শাহাদত, নূর ইসলাম, পিতা- মৃত তালুক সরদার, ইউনুস দফাদার, পিতা- মৃত শাহাদত দফাদার, বাপ্পি, পিতা- মৃত সালাম মোড়ল, সিরাজ, পিতা- মৃত আয়নাল মোড়ল সর্বসং- আজমপুর ও লেয়াকত আলী, পিতা- অজ্ঞত, গ্রাম- বোধখানা। উপরে উল্লেখিত ব্যক্তিগত জলমহালটির ৬ একর জায়গা দখল করে পুকুর খনন করে পানি চলাচলের পথ বন্ধ করে রেখেছে। এবং আমরা জানতে পেরেছি যে, সরকারি খাস ১নং খতিয়ানভুক্ত জায়গার উপর তথ্য গোপন করে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে ভুয়া, বানোয়াট, তঞ্চকিপূর্ণ ও জালজালিয়াতি মূলক সৃষ্ট দলিল, কাগজপত্রাদির মাধ্যমে যশোরের বিজ্ঞ দেওয়ানী সহকারী জজ নিম্ন আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আমরা ঝিকরগাছা উপজেলার নির্বাহী অফিসারের নিকট এই সরকারি সম্পত্তি উদ্ধারে বিজ্ঞ আদালতে আপিল দায়ের করার জন্য ও সরকারি সম্পত্তি উদ্ধারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি।
আমরা আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, শিমুলিয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত পাল্লা বাজারের ১নং সরকারি খতিয়ান ভুক্ত ১ একর ৭০ শতক জমির মধ্যে ১০ শতক জমি অতিগ্রহণপূর্বক একটি ভূমি অফিস নির্মাণের সরকারি বরাদ্ধ প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু বাজারটিতে সরকারি সম্পত্তির উপর পাল্লা গ্রামের প্রভাবশালি ভূমিদস্যু আব্দুল হামিদ পিতা- মৃত মোজাহার ও তার শীর্ষ ক্যাডার আব্দুল মাজিদ পিতা- ওয়িয়ার রহমান সর্বসাং- পাল্লা। পাল্লা বাজারের সরকারি সম্পত্তি দখলপূর্বক দুই তলা মার্কেট নির্মাণ করেছেন। আমরা অত্র এলাকাবাসী সাংবাদিক ভাইদেএকরর মাধ্যমে ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আমাদের আকুল আবেদন উক্ত বাজারের সরকারি খতিয়ানভুক্ত ১ ৭০ শতক জমির উপর সকল অবৈধ্য স্থাপনা উচ্ছেদপূর্বক বাজার পেরিফেরি করে সরকারি বিধি মোতাবেক প্রকৃত ব্যবসায়িদের মধ্যে দোকান বরাদ্ধ প্রদানের দাবী করেছেন। এ বিষয়ে সংবাদকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন শিমুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আশারাফুজ্জামান আশা। এছাড়াও উক্ত সময় উপস্থিত ছিলেন, রাজাপুর গ্রামের মহিদুল ইসলাম, আনিছুর রহমান, ওয়াছেল, আনারুল, আঃ বারিক, তরিকুল ইসলাম, আজগর আলী, আঃ কাইউম, আইয়ুব হোসেন, ফজলুল হক, আতিয়ার রহমান, ইসমাইল, আব্বাস আলী, আজমপুর গ্রামের হাফিজুর রহমান, মনজুরুল ইসলাম, টিপু সুলতান, নুর আলম রাজু, রাসেল, মেহেদী, পাল্লা গ্রামের মিজানুর রহমান, আলম, মাসুদ পারভেজ, শিয়ালঘোনা গ্রামের আব্দুল অহেদ, খাসখালী খাইরুল ইসলাম, মধুখালী গ্রামের শরাফত আলী সহ উপস্থিত ছিলেন, মনজুরুল ইসলাম, আলতাপ হোসেন, ফারুক হোসেন , তরিকুল ইসলাম, ইসরাফিল হোসেন, মফিদুর রহমান, মস্তফা, রসুল, আনিছুর বিশ্বাসসহ আরও অনেকে।
এবিষয়ে সোহারব হোসেন বিশ্বাসের ছেলে শহিদুল ইসলাম পল্লবের নিকট ঘটনার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, বিজ্ঞ আদালতের রায়, ডিক্রী ও নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে মিথ্যাচার ও অবৈধ ক্ষমতা প্রয়োগ করা আদালত অবমননার সামিল। এ বিষয়ে কে বা কারা সংবাদ সম্মেলন করলো এটা আমাদের কোন জানা-বোঝার কিছু নেই। তবে যারা এই সংবাদ সম্মেলন করছে তাহারা কি আমার পরিবারের ক্ষয়ক্ষতি সাথে সংযুক্ত কি না এটাও প্রশাসনের নিকট আমি তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। আমরা বিজ্ঞ আদালত ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আদালতের ন্যায় বিচারের প্রতি আমরা বিশ্বাসী।
—