
আফজাল হোসেন চাঁদ, ঝিকরগাছা : যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার পানিসারা ইউনিয়নের নীলকন্ঠনগর গ্রামে পারিবারিক কলহের জেরে নাতি জামাইয়ের হামলায় নানা শ্বশুর নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম মহিউদ্দিন (৭০)। তিনি ওই গ্রামের মৃত বজলুর রহমানের ছেলে।
এঘটনায় আহত হয়েছেন নিহত মহিউদ্দিনের স্ত্রী তাজমা বেগম (৬০), মেয়ে মুন্নী বেগম (৪০), রফি আকরামের ছেলে আমিনুর রহমান (৩০) ও কোতোয়ালি থানার পালবাড়ি আয়সা পল্লীর মৃত শাহাজাহানের ছেলে মমিনুল ইসলাম মোহন (৩০) এবং ছোট মেঘলা গ্রামের মোক্তার আলীর ছেলে আহম্মদ আলী (২৬)।
নিহতের নাতনি মিমি জানায়, উপজেলার পানিসারা ইউনিয়নের নীলকন্ঠনগর গ্রামের সদ্য নিহত মহিউদ্দিনের নাতনীর মিমি (২০) এর সাথে কোতোয়ালি থানার পালবাড়ি আয়সা পল্লীর মৃত শাহাজাহানের ছেলে মমিনুল ইসলাম মোহনের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিবাহের পর মোহন তার স্ত্রী মিমিকে সর্বদা সন্দেহের চোখে দেখতো। বিগত ২ অক্টোবর তাদের বাড়িতে গোলোযোগ সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে মোহন তার মা ও স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। তারপর মিম তার কাকিদের বাড়ি ৩দিন ছিলো। আর ৪দিনের মাথায় তার মা ৮ অক্টোবর নানাদের বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপর তাদের কোলের সন্তানের টিকা দেওয়ার কথা কিন্তু মিমি সন্তানকে টিকা দেয় না। একপর্যায়ে মোহন ফোনে তার শাশুড়িকে মিমি ও জিনিষপত্র গুছিয়ে নিয়ে তার বাড়িতে যেতে বলে কিন্তু তারা যায় না। যার কারণে মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাত অনুমান ৮টার দিকে মোহন সহ আহম্মদ ও রকি নামে আরও ২জন নানা শ্বশুর মহিউদ্দিনের বাড়িতে আসে। এরপর তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। তখন শ্বাশুড়ী কথা ধরলে মোহন রাগ করে ছেলে নিয়ে চলে যাওয়ার সময় মোহনের ছেলের হাত ধরে টান দিলে মোহন তখন তার শ্বাশুড়ীরর মাথার চুল ধরে পরে গোলযোগে মিটানোর জন্য নানা শ্বশুর ও নানি শ্বাশুড়ি ঠেকাতে আসলে একপর্যাযে মোহন ও তার সহযোগীরা মিলে তাদের উপর হামলা চালায়। এরপর এলকাবাসীরা এগিয়ে আসলে একজন পালিয়ে যায় ও দুইজনকে মেরে ঘরে আটকিয়ে রাখে। পরবর্তীতে থানা পুলিশ হাতে দিয়েছে। এছাড়াও আহতদের চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া। আহতরা সবাই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরলেও নানা শ্বশুর মহিউদ্দিন না ফেরার দেশে পারি জমিয়েছেন। ঘটনার বিষয়ে এই রিপোট লেখার পূর্ব মুহুত্ব পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি। তবে থানার অফিসার ইনচার্জ নুর মোহাম্মদ গাজী বলেন, মামলা কর্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

