মাওঃ মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম
রোজা ফার্সি শব্দ। আরবিতে বলা হয় ‘ছওম’। অর্থ বিরত থাকা, সংযত থাকা, চুপ থাকা ইত্যাদি। পরিভাষায়Ñসুবহে সাদিক হতে সুর্যাস্ত পর্যন্ত যাবতীয় খানাÑপিনা ও যৌন সম্ভোগ হতে বিরত থাকার নাম সওম বা রোজা। রোজা ফরজ ইবাদাত। এটা অস্বীকার করা কুফরি। রোজা ফরজ হওয়া সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, হে ঈমানদারগণ ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করে দেয়া হয়েছে যেমন তোমাদের পূর্ববর্তী নবীদের অনুসারীদের ওপর ফরজ করা হয়েছিল। এ থেকে আশাকরা যায়, তোমাদের মধ্যে তাকওয়ার গুণাবলী সৃষ্টি হয়ে যাবে (সুরা বাকারাÑ১৮৩)।
এছ্ড়াা তিনি (আল্লাহ) আরও বলেন, কাজেই এখন থেকে যে ব্যক্তি এ মাসের সাক্ষাৎ পাবে তার জন্য এই সম্পুর্ণ মাসটিতে রোজা রাখা অপরিহার্য (সুরা বাকারাÑ১৮৭)। রাসুল (স.) বলেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ছওয়াবের আশায় রমজান মাসের রোজা পালন করে, তার অতীতের সকল গুনাহ ক্ষমা করা হয়। যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ছওয়াবের প্রত্যাশায় রমজান মাসে ইবাদাতের মাধ্যমে রাত্রি জাগরণ করে, তার অতীতের সকল অপরাধ ক্ষমা করা হয়। যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ছওয়াবের আশায় লাইলাতুল ক্বদর (ভাগ্যরজনীতে) ইবাদাতে মগ্ন থেকে রাত্রি জাগরণ করে, তার অতীতের সকল গুনাহ ক্ষমা করা হয় (বুখারি ও মুসলিম)।
এখানে যে গুনাহ মাফের কথা বলা হয়েছে তা হলো ছগিরা গুনাহ। কবিরা গুনাহের জন্য তাওবা শর্ত। রমজান মাস গুনাহ মাফের মাস। এ প্রসংঙ্গে রাসুল (স.) বলেন, ( এ মাসে রাত্রি কালে) ঘোষণাকারী ঘোষণা করেনঃ হে নেকী অন্বেষণকারী! সামনে অগ্রসার হও, আর হে পাপান্বেষী! সংযত হও। আর আল্লাহ তায়লা বহু লোককে দোজখ হতে নাজাত দেন। এ ভাবে রমজানের প্রত্যেক রাত্রেই ঘোষণা হতে থাকে (তিরমিজি)।
আর যার গুনাহ মহান আল্লাহ মাফ করে দেবেন সে তো জান্নাতি হবে এটাই স্বাভাবিক । যে কারণে আমাদের কর্তব্য হলো রমজান মাসে বেশী বেশী তাওবা করা যাতে করে আমরা আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমা লাভ করতে পারি। তাই আসুন আমরা রমজান মাসে ঈবাদাত বন্দেগী ও তাওবার মাধ্যমে গুনাহ মাফ করিয়ে জান্নাতি মানুষ হওয়ার চেষ্টা করি মহান আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন। আমিন।
প্রকাশক ও সম্পাদক :
মোঃ কামরুল ইসলাম
মোবাইল নং : ০১৭১০৭৮৫০৪০
Copyright © 2025 অপরাজেয় বাংলা. All rights reserved.