জল বাষ্পের ঢেউ/ বিলাল মাহিনী

কৈশোরে ফিরে যায় যৌবন
আর্দ্র বায়ুতে ভিজে উড়ু মন জেগে ওঠে
সেইসব স্মৃতি দৃশ্যতঃ এখনো মৃদু জলস্রোতে বুনো
মাছের খেলা দেখে স্বপ্ননয়ন
শিশু হয়ে ওঠে মনটা
কাদামাটির খেলায় মেতে ওঠে আহ্লাদে।
অবিরাম ঝরে পড়ে মেঘলা আকাশ ভেজা পাখিরা ঘরে
ফেরে দৃশ্যমান থেকে দৃশ্যহীন
অপলক সুদূর ব্যাঙের ঘেঙর ঘেঙর
ডাকে ঘুম ভাঙ্গে ভোরের সূর্যের দেখা মেলে
ভর দুপুরে কখনোবা অপরাহ্ণে।
আকাশে সাদাকালোর খেলা
মাঝে মাঝে গাঢ় মেঘলা ঝরে
অবিরাম খসে পড়ে বাবুই-চড়ুইয়ের বাসা,
খুঁজে জানালার কার্নিশে আশ্রয়।
হয়তো সিক্ত ডাগর চাউল খুঁজে
ফেরে অভুক্ত পক্ষীরা।
কুকুর বিড়াল শৃগালের হাঁক
ডাক বাড়ে বর্ষায়,
ক্ষুধার যন্ত্রণায় সন্ধ্যা-রাতে
হাতড়ায় হাঁস-মুরগির পাল।
এক ছোবলে তুলে নেয়
দু-চারটে গৃহপালিত শাবক।
ভেজা কাক উড়ে সহসা পথের খেলা
জমে পানির নিচে খলখল জল
আছড়ে পড়ে পথের উপরে।
জলের কোলাহল গ্রাম থেকে শহরের রাস্তায়
উদাস বৃক্ষ ধুয়ে নেয় গা
সাতারে ব্যস্ত মৎসের ঝাঁক।
ছলছল নদী উথলে ওঠে
কারো ঝরে নোনাজল
মুষলধারে বিরহে ভাসে
বেহুলার সাম্পান বর্ষা
তিথিতে সকরুণ ঝরে পড়ে
মেঘ আকাশে জলবাষ্পের ঢেউ
আছড়ে পড়ে জমিনে।
সবুজের কচি পত্র,
ভ্রুণ প্রতীক্ষায় লাল হলুদ ফোটাতে প্রহর গুনছে হাজারো গর্ভবতী।