--বিলাল মাহিনী
নিত্য সাথী ক্ষুধা-তৃষ্ণা ভবদহ বিলে,
মরছে শত জ্বালা বুকে সর্বহারার দলে।
অভয়নগরের দুঃখ সে যে ভবদহ তার নাম,
সুখের দেখা মেলে নাকো কৃষক পায় না দাম।
একদা তারা ছিল সুখে কাটতো হেঁসে দিন,
আনন্দ আর হাসিতে বাজতো হরেক রকম বীন।
সুজন গাইতো মনের সুখে হাজার রঙের গান,
প্রাণ খুঁজে পেতো কৃষাণ নারী ঢেঁকিতে ভানিতো ধান।
এমন খুশি হাসি ভরা মুখের দেখা মেলা ভার,
ক্ষুধা-তৃষ্ণা বঞ্চনা ব্যাথ্যা শত কিষাণের দ্বার।
জলে আবদ্ধ হাজারো মানুষ শেওলায় ভাসে ঘর,
স্বপ্ন সাধ সব ধুলোতে লুটে সমাধান কই তার?
ক্ষুধার্ত সব লুটেরা আসে লুটেপুটে খেতে রিলিফ,
তাইতো জনতা বৃদ্ধ বনিতা করে নাকো তাদের বিলিফ।
সব হারিয়ে ঘর ছাড়া সবে পথকে করেছে বাস,
লুটেরার কলমের খোঁচা মেকি ভালোবাসায় হয়েছে তারা দাস।
ব্যাধি আর মরণ দুইই তাদের ভবিষ্য কল্পনা,
এ দুঃখ চোখে না দেখলে যাবে নাকো ভাবনা।
শত মা বোনের চোখের জল খাচ্ছে গড়াগড়ি,
শুষ্ক খরা শুষে নিয়ে তা দিচ্ছে হাতছাড়ি।
স্লুইস গেট আর টিআরএমের বাস্তবায়ন নাই,
রক্তে ভাসবে ভবদহ না পেলে যা চাই।
প্রকাশক ও সম্পাদক :
মোঃ কামরুল ইসলাম
মোবাইল নং : ০১৭১০৭৮৫০৪০
Copyright © 2025 অপরাজেয় বাংলা. All rights reserved.