Type to search

চৌগাছা পশুহাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ

যশোর

চৌগাছা পশুহাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ

চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি
যশোরের চৌগাছা পশু হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাশাপাশি ক্রেতাদের কাছ থেকে বেশি টাকা আদায় করে কম টাকার রশিদ দেওয়া হচ্ছে। ফলে কোরবানির পশু কিনতে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা।
বুধবার সরেজমিনে হাট পরিদর্শনে গেলে দেখা যায় উপজেলার একমাত্র পশু হাটে টাঙনো হয়নি খাজনা আদায়ের কোন মূল্য তালিকা। ফলে ক্রেতাদের কাছ থেকে ইচ্ছেমত খাজনা আদায় করছেন ইজারাদাররা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে খাজনা আদায়ের জন্য সরকারি কোনো নির্দেশনাপত্র দেয়া হয়নি। তবে বিগত বছরগুলিতে পশুর বিক্রয় মূল্যের ৫ থেকে ৮ ভাগ খাজনা আদায়ের নির্দেশনা ছিল। তবে সেক্ষেত্রে বাজার কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়কে জানাতে হবে। তিনি জেলা প্রশাসককে অবহিত করে সেটির অনুমোদন করাবেন। অফিসের অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে সরকার নির্ধারিত খাজনা গরু-মহিষের ক্ষেত্রে ২৫০ টাকা, ছাগল-ভেড়ার ক্ষেত্রে ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ভুক্তভোগী ক্রেতারা জানান হাটের ইজারাদাররা পশুর মূল্যের ১০/১২ শতাংশ হারে খাজনা আদায় করছেন।
চৌগাছা পৌরসভা কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, গত বাংলা চৈত্রমাসে এ হাটটির ইজারার মেয়াদ শেষ হয়েছে। হাট এখন পৌরসভার তত্ত্বাবধানে খাসভাবে পরিচালিত হচ্ছে। পৌরসভার নামে বেওয়ারিশ এই পশু হাট মূলতঃ পূর্বের ইজারাদরগণই পরিচালনা করছেন। যে কারনে ক্রেতাদের কাছ থেকে ইচ্ছামত খাজনা আদায় করেছন তারা। বুধবার হাট ঘুরে দেখা গেছে ক্রেতাদের কাছে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের পাশাপাশি বিক্রেতাদের কাছ থেকেও অবৈধভাবে খাজনা নেওয়া হচ্ছে।
দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকার চৌগাছা প্রতিনিধি ও চৌগাছা প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য প্রভাষক আজিজুর রহমান জানান, আমি ৩০ হাজার টাকা দিয়ে দু’টি ছাগল ক্রয় করি। ইজারাদাররা আমার কাছে ৩ হাজার টাকা খাজনা দাবি করেন। সাংবাদিক পরিচয় দিলে তারা দু’টি ছাগলের জন্য ৬’শ টাকা খাজনা নেন। তবে তারা আমাকে ৩’শ টাকার রশিদ দিয়েছেন। এসময় অন্য একজন সাংবাদিকও সাথে ছিলেন।
একজন গরুক্রেতা বলেন, আমি ৭০ হাজার টাকা দিয়ে একটি গরু ক্রয় করেছি। আমার কাছে ৭ হাজার টাকা খাজনা নেয়া হয়েছে। এভাবে আরো কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, এই হাটে খাজনা আদায়ের জন্য কোনো মূল্য তালিকা না থাকার কারনে আদায়কারীরা তাদের ইচ্ছামত খাজনা আদায় করছেন। ক্রেতাদের অভিযোগ হাটে খাজনা আদায়ের মূল্য তালিকা থাকলে ইজাদাররা অতিরিক্ত টাকা নিতে পারবেন না। এজন্য তারা মূল্য তালিকা টাঙান না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ক্রেতা জানালেন বিষয়টি পৌর প্রশাসনকে অবহিত করেও কোনো সুরাহা হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রকৌশলী ইনামুল হক বলেন ইজারার বিষয়টি পৌর কর্তৃপক্ষের। খাজনা বেশি নেয়ার বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জানলাম। বুধবার আমি হাটে গিয়ে সরেজমিনে দেখবো।
তবে হাটের ইজারাদার পাতিবিলা ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আতাউর রহমান লালের বক্তব্য নিতে তার ব্যবহৃত ০১৭১২১৭৯৮৮১ নম্বরের মোবাইল ফোনে বিকাল ৬টা ১৩ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে একাধিকবার কল দেয়া হলেও নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।