Type to search

চৌগাছায় সংখ্যালঘুদের উপর বিএনপির সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ

জাতীয়

চৌগাছায় সংখ্যালঘুদের উপর বিএনপির সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ

শ্যামল দত্ত চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধিঃ

 

যশোর চৌগাছার পাশাপোল ইউনিয়নের রানীয়ালি গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের উপরে বিএনপির নেতা জসিমের সন্ত্রাসী বাহিনীর অব্যাহত হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠতি হয়েছে। ১৩ জুন

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষা পরিষদ যশোরের উদ্যোগে রানীয়ালি বাজারে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষা পরিষদ যশোরের জেলা শাখার আহ্বায়কমিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে পাচ শতাধিক নারী পুরুষসহ বিভিন্ন সংগঠনের জেলা ও উপজেলার নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহন করেন।

সমাবেশে বক্তারা সকল সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবী জানান।

সমাবেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষা পরিষদ যশোর জেলা শাখার সদস্য সচিব ফারাজি আহমেদ সাঈদ বুলবুল ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যশোর জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক সাজেদ রহমান বকুল এসকল সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনে গড়িমসির কারনে চৌগাছা থানা পুলিশের ব্যাপক সমালোচনা করেন এবং ধ্বিক্কার জানান।

সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি হারুন অর রশিদ, সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেন

দোদুল, অধ্যক্ষ শাহীন ইকবাল, যশোর জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি দীপঙ্কর দাস রতন, সাধারন সম্পাদক তপন ঘোষ, চৌগাছা শাখার

সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ মিশ্র জয়,ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি চৌগাছা উপজেলার সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসক্লাব চৌগাছার সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান রিন্টু, পাশাপোল ইউপি চেয়ারম্যান অবাইদুল

ইসলাম সবুজ, গঙ্গানন্দপুর ডিগ্রী কলেজের সহ.অধ্যাপক আজিজুল হক রাজু,উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আইন বিষয় সম্পাদক সাংবাদিক শ্যামল দত্ত প্রমুখ।

উল্লেখ্য এই ইউনিয়নের বীল অধ্যুষিত (হাউলি বেড়েলি রানীয়ালি মালিগাতিসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম) গ্রামগুলো হিন্দু সম্প্রদায়ের গ্রাম হিসেবে পরিচিত। কিন্তু ২০০১সাল থেকে অত্যাচারিত হয়ে (জীবন

এবং পরিবারের ইজ্জত বাচাতে) এই সম্প্রদায়ের অনেকে নিজের জমি,বাড়ি বিক্রি করে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে চলে গেছেন। পূর্বে এ ধরনের

ঘটনায় এঅঞ্চলে অনেক আন্দোলন সংগ্রাম হয়েছে। জেলা এবং স্থানীয় বক্তরা বলছেন, সম্প্রতি শ্রাবন সরকার ওরফে জসিম ওরফে ইঞ্জিনিয়ার জসিমের

মদদে এ গ্রাম গুলোতে নির্যাতন চলে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২ জুন রানীয়ালি গ্রামের ভীম নামে একজনের শিশু সন্তানকে ওই জসিমের

পালিত সন্ত্রাসী মাহবুব কৃষি মাঠে মারধর করে। স্থানীয়রা বলছেন ওই দিন রাতে ভীম তার ছেলেকে মারের প্রতিবাদ করে। পরের দিন সকালে

ইমদাদুলের ধানের আড়তে সন্ত্রাসী মাহবুব এবং জসিমের অন্যান্য সন্ত্রাসীরা হাতুড়ি, লোহার রড, লাঠি দিয়ে ভীমকে ব্যাপক মারধোর করে। পরে ভীম আহতবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা শেষে মাহবুবদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। কিন্তু পুলিশ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি করে। পরবর্তীতে সেই সন্ত্রাসীরা আদালত থেকে জামিনে এসে ভীমের জীবননাশের চেষ্টা চালায়। এবং গ্রামের পুরো হিন্দু সম্প্রদায় সন্ত্রাসী জসিম গং-এর আক্রোশের শিকার হয়। উপায় না থেকে

স্থানীয় হিন্দু অধিবাসিরা যশোর জেলা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষা পরিষদ, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এবং পূজা উদযাপন কমিটির শরাপন্ন হন। অগত্যা ওই জনপদের হিন্দু সম্প্রদায়কে রক্ষা করতে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এদিকে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের গড়িমসির কারন হিসেবে ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য গোবিন্দ ও

ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সম্পাদকসহ স্থানীয়রা বিএনপি নেতা জসিমকেই দায়ী করেন। তবে স্থানীয়রা শ্রাবন সরকার ওরফে জসিমকে

বিএনপি নেতা বললেও জসিম নিজেকে ঢাকার ভাসান টেক থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে পরিচয় দেন।